রায়গঞ্জ: সরকারি জায়গা দখল করে দীর্ঘদিন ধরে চলছে দোকান। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় রাস্তার কাজ শুরু হতেই দোকানে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা। ফলে ওই জায়গায় গিয়ে রাস্তার কাজ আটকে গিয়েছে। ফলে ১৮ ফুট চওড়া রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে ১২ ফুটে দাঁড়িয়েছে। অবিলম্বে সরকারি জায়গায় থাকা দোকানঘর ভেঙে দিয়ে সিডিউল মেনে রাস্তার কাজের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন গ্রামবাসীরা। একই দাবিতে সরব হয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের ভাই ইন্দ্রজিৎ বর্মন। তাঁর দাবি, সাধারণ মানুষের দাবি মেনে দোকান ভেঙে ফেলতে হবে। কারণ ওই এলাকায় একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটছে। সরকারি জায়গা দখল করে এভাবে ঝান্ডা লাগানো যায় না।
ইন্দ্রজিৎ বর্মন সাধারণ মানুষের আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতেই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। তাহলে ইন্দ্রজিৎবাবু কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? যদিও তাঁর দাবি, তিনি কোনও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। দোকান বাঁচাতে গিয়ে মন্দিরের জায়গা রাস্তায় চলে যাচ্ছে। ওই জায়গায় বাজার বসে। তাই সাধারণ মানুষের স্বার্থে দোকান ভেঙে ফেলার পক্ষে তিনি আছেন।
রায়গঞ্জ ব্লকের ২ নম্বর জগদীশপুর অঞ্চলের রুনিয়া থেকে জগদীশপুর ভায়া পাঁচভায়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় প্রায় ৩.১০ কিমি রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। রুনিয়া মোড়ে সরকারি জায়গায় একটি চা ও মুদির দোকান রয়েছে। অভিযোগ, সেই দোকানে নেতা মন্ত্রীরা আড্ডা মারেন। সেকারণে দোকানের বাইরে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে নির্মাণকারী সংস্থার লোকজন দোকানের জায়গায় হাত দিতে পারেনি। এরই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের রায়গঞ্জ ব্লক ২ অঞ্চলের সভাপতি দীপঙ্কর বর্মনের দাবি, এর পেছনে বিজেপির মদত আছে। মন্ত্রীকে কেউ তো অভিযোগ করেননি এবং তিনি কখনও বাধা দেননি। তৃণমূল কংগ্রেসের ঝান্ডা আছে বলে নির্মাণকারী সংস্থা দোকানটি ভাঙেনি, সেটা ভুল। মন্ত্রীর ভাই কেন অভিযোগ করছেন তা না শুনে বলতে পারব না।