প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান: প্রবাদে আছে, প্রদীপের নীচটা নাকি অন্ধকার। কিন্তু এই প্রবাদ বোধহয় সবসময় সত্যি না। তাই অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনকালে মুখে হাসি ফুটেছে পূর্ব বর্ধমানের মৃৎশিল্পীদের। কারণ সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাম মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানোর কথা বলেছেন। দেশবাসী সত্যি যদি সেটা করে, তাহলে অকাল দীপাবলিতে সেজে উঠবে গোটা দেশ। সেই প্রত্যাশায় বাড়তি আয়ের আশা করছেন মৃৎশিল্পীরা।
অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে উন্মাদনায় ভাসছে গোটা দেশ। তারই মধ্যে প্রধামন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ’রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ’ (আর এস এস) ও অন্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি বাড়ি বাড়ি প্রদীপ সরবরাহ করেছে। অনেকে আবার প্রদীপ কিনতে কুমোর পাড়ায় ভিড় জমাচ্ছেন। আবার অনেকে দোকান থেকে প্রদীপ কিনে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। জেলার কুমোর পাড়ার অনেক মৃৎশিল্পী মেদিনীপুর, কলকাতা ও চন্দননগরের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রদীপ তৈরির বরাতও পেয়েছেন। সেইসব মৃৎশিল্পীদের দাবি, সব মিলিয়ে তাঁরা প্রায় দেড় লক্ষ প্রদীপ ভিন জেলায় ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। অসময়ে এই বরাত পাওয়াটা অপ্রত্যাশিত বলেই মন্তব্য করেছেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে বর্ধমান শহরের মৃৎশিল্পী রাজেশ কুম্ভকার বলেন, ‘সাধারণত কালীপুজোর পরে প্রদীপের চাহিদা আর তেমন থাকে না। কিন্তু রাম মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে পরিস্থিতিটা পালটে গিয়েছে। এবার জানুয়ারির প্রথম থেকেই প্রদীপ তৈরির বরাত মিলতে শুরু করে।‘ বড়শুলের মৃৎশিল্পী রেখা পাল বলেন, ‘হঠাৎ করেই রবিবার সকালে ৪০০ প্রদীপ তৈরির বরাত পাই। তাই সারাদিন পরিশ্রম করে সন্ধ্যার মধ্যেই ৪০০ প্রদীপ তৈরি করে ফেলি।‘