গাজোল: দুর্গা পুজো, লক্ষ্মীপুজো শেষ। সামনে রয়েছে কালীপুজো। আর কালী পুজো যত এগিয়ে আসছে, ততই মালদা জেলার বিভিন্ন হাটে পাঁঠা কেনার হিড়িক বাড়ছে। গাজোলের পান্ডুয়া এলাকায় রয়েছে পাঁঠা কেনা বেচার হাট। তাই এই হাটে ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন পাঁঠা কেনার জন্য। কারও চাই নিখুঁত কালো বা অন্যান্য রঙের পাঁঠা। কেউ বা চাইছেন হাটের সবথেকে বড় পাঁঠাটি। কারও পছন্দ দেশী পাঁঠা, তো কেউ চাইছেন রাম পাঁঠা। তবে শুধু মালদা জেলার ক্রেতারা নয়, এখানে পাঁঠা কিনতে চলে আসছেন মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের ক্রেতারাও। পাশাপাশি পাশের রাজ্য বিহার, ঝাড়খন্ড থেকেও এখানে পাঁঠা কেনার উদ্দেশ্যে আসছেন কালী ভক্তরা। মা কালীকে সন্তুষ্ট করতে অনেকে মানত করে থাকেন। এই হাটে এসে দেখা গেল সাইজ অনুযায়ী পাঁঠার দাম ঘোরাঘুরি করছে ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তার থেকেও কিছু কম দামে পাঁঠা বিক্রি হচ্ছে তবে তুলনায় খুবই ছোট। তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে পঞ্চাশ হাজারি পাঁঠা।
সুরেশ যাদব নামে বিহারের এক ক্রেতা জানান, প্রতিবছরই তিনি এই পান্ডুয়াতে কালী পুজোর জন্য পাঁঠা কিনতে আসেন। তবে বিভিন্ন হাটে একটু দরদাম করে দাম ঝালিয়ে নেন। দক্ষিণ দিনাজপুরের রাজু সরকার জানান, ৫-৬ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাঁঠার দাম রয়েছে এখানে। পান্ডুয়া জাতীয় সড়কের পাশেই প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে পাঁঠা। আগামী দিনেও কালী পুজোর দিন যতই এগিয়ে আসবে, ততই এই হাটে ভিড় বাড়বে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের।