তমালিকা দে, শিলিগুড়ি: প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পর এবার পড়ুয়া-শিক্ষক অনুপাতে ঘাটতির আশঙ্কা। বেশ কয়েকবছর পর এবার প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এর ফলে এবার অধিকাংশ স্কুলে শিক্ষকের (Primary School Teacher) ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে বিষয়টি নজরে এসেছে শিলিগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের। পড়ুয়া-শিক্ষক অনুপাত বজায় রাখতে প্রাথমিকভাবে অ্যাটাচমেন্টের ওপরই ভরসা রাখার কথা ভাবছেন সংসদ কর্তারা।
প্রায় দুই দশক পর প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ শুরু হয়েছে শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলায়। ইতিমধ্যে চারটি সার্কেলের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ (Head teacher) হলে একদিকে স্কুলগুলোর পরিকাঠামো আরও বেশি উন্নত হওয়ার আশা যেমন রয়েছে তেমনই অন্যদিকে, পড়ুয়াদের অনুপাতে প্রয়োজনীয় শিক্ষক না থাকার আশঙ্কাও রয়েছে। কারণ অনেক স্কুল থেকে একাধিক শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের পদের জন্য আবেদন করেছেন। এই পরিস্থিতিতে যে স্কুলগুলো থেকে দু’-তিনজন প্রধান শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করেছেন, সেই স্কুলগুলিতে এই ঘাটতির সম্ভাবনা রয়েছে। এক প্রাথমিক শিক্ষক বলেন, ‘আমার স্কুলে চারজন শিক্ষক রয়েছেন। তিনজনই প্রধান শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করেছিলেন। প্যানেলে নাম আসার পর তিনজনই তিনটি স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদে নিযুক্ত হয়েছেন। ফলে বড় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এখন স্কুল চালানো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ যে স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি, সেখানে একজন শিক্ষকের পক্ষে কতগুলো ক্লাস নেওয়া সম্ভব হবে, সেই প্রশ্নও তিনি তোলেন। এমনিতেই অধিকাংশ স্কুলে পড়ুয়াদের অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যা কম, এবার সেটা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সবাই।
এই সমস্যা যে হতে পারে সেই আভাস অবশ্য পেয়েছেন সংসদ চেয়ারম্যান দিলীপকুমার রায়। তিনি বলেন, ‘সব সার্কেলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে তারপর সার্কেল অনুযায়ী প্রত্যেকটি স্কুলের পড়ুয়া-শিক্ষক সংখ্যার তথ্য নেব। যেখানে পড়ুয়া অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যা কম হবে, সেখানে অ্যাটাচমেন্টে শিক্ষক দেওয়া হবে।’
বুধবার শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার বিধাননগর ও ফাঁসিদেওয়া সার্কেলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়। হাকিমপাড়া জিএসএফপি স্কুলে সকাল থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভিড় দেখা যায়। বিধাননগর ও ফাঁসিদেওয়া সার্কেল মিলিয়ে মোট ১০১টি স্কুলের মধ্যে ৯৫টি স্কুলে (School) প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে।