উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার পথে নামল গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের রাস্তা ক্যামাক স্ট্রিট দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল করার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিনের মিছিলে অংশ নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। এই দুই নেতার মিছলে উপস্থিত হওয়া নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠল রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। যদিও কৌস্তভদের দাবি, চাকরিপ্রার্থীদের স্বার্থেই এই মিছিলে তাঁদের অংশগ্রহণ।
এদিন দুপুরে নিজেদের ন্যায্য চাকরির দাবিতে মিছিলের ডাক দিয়েছিল গ্রুপ ডি র চাকরি প্রার্থীরা। স্কুল পড়ুয়াদের অসুবিধের কথা বলে উল্লেখ্য মিছিলের অনুমতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিল রাজ্য। রাজ্যের আর্জি খারিজ করে হাইকোর্ট মিছিলের অনুমতি দেয় তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার জন্য। এমনকি আদালত বাতলে দেয় মিছিলের রুট ম্যাপও। সেই ম্যাপ অনুযায়ী থিয়েটার রোড এবং ক্যামাক স্ট্রিটের সংযোগস্থল থেকে মিছিল শুরু হয়ে নিজাম প্যালেসের সামনে দিয়ে রবীন্দ্রসদন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রোড হয়ে হাজরা মোড়ে শেষ হবে।
মিছিলে মশাল হাতে খালি গায়ে হাঁটতে দেখা যায় চাকরি প্রার্থীদের। চাকরিপ্রার্থীরা শুধু নন, তাঁদের সঙ্গে মিছিলে ছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন, ‘চাকরির দাবিতে ৪০০ দিন ধরে আমরা আন্দোলন করছি। আজও দাবি পূরণ হল না।’
মিছিলে শুভেন্দু অধিকারী কোন প্রতিক্রিয়া দেননি। অন্যদিকে কৌস্তভ বাগচী বলেন, ‘ব্যক্তি কৌস্তভ বাগচী হিসাবে, আইনজীবী হিসাবে এখানে এসেছি। তাই এটা নিয়ে আলাদা করে জল্পনা করার কিছু নেই।’
তবে এদিনের মিছিলে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ অবশ্য শুভেন্দু-কৌস্তভ জুটি। সর্বভারতীয় রাজনীতি ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গেও একে অপরের বিরোধী বিজেপি এবং কংগ্রেস। সুতরাং এই দুই নেতার এক মিছিলে পা মেলানো কে কেন্দ্র করে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল নতুন রসায়নের ইঙ্গিত পাচ্ছেন। এই বিষয়টিকে আরও একটু উস্কে দিয়েছে সম্প্রতি কৌস্তভ বাগচীর শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে করা মন্তব্য। তিনি বলেছিলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী অচ্ছ্যুৎ নন।’