রায়গঞ্জঃ স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্ত্রী ও তিন বছরের কন্যা সন্তানকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শিক্ষক স্বামীর বিরুদ্ধে। এদিন বিকেলে অভিযুক্ত শিক্ষক স্বামী অভিষেক বর্মনের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা বধূ(protesting against adultery)। তাঁর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ(Raiganj police station)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ বছর আগে নদীয়ার(Nadia) চাপরা থানার বড় আমদুলিয়া গ্ৰামের বাসিন্দা কেয়া দাস বর্মনের বিয়ে হয় পেশায় শিক্ষক অভিষেক বর্মনের। তাদের তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে অভিষেক নেন নগদ আড়াই লক্ষ টাকা, আট ভরি সোনা সহ অন্যান্য দান সামগ্রী। কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার পর থেকেই অশান্তির সূত্রপাত। সম্প্রতি অভিষেক বাপের বাড়ি থেকে আরও পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে আসার জন্য স্ত্রীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সেই টাকা আনতে অস্বীকার করায় স্ত্রীর ওপর শারীরিক নির্যাতন বাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। একই কারণে গতকাল রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। বচসা চলাকালীন স্বামী তাঁর স্ত্রীর গায়ে গরম তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সেখান থেকে প্রতিবেশীদের সহায়তায় পালিয়ে বাঁচে স্ত্রী। এরপরই নির্যাতিতা বধূ স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রায়গঞ্জ মহিলা থানায়। মহিলার অভিযোগের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
নির্যাতিতা বধূ কেয়া দাস বর্মনের কথায়,”বিয়ের পর থেকে আমি স্বামীর বাড়িতে অত্যাচারিত হচ্ছি। আমার স্বামী পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে আমার ওপর অত্যাচার করছে। দীর্ঘদিন যাবত এগুলো সহ্য করে থাকা সত্ত্বেও এখন সে আমার সঙ্গে আর থাকতে চাইছে না। আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে। আমি চাই আমার উপর যে অত্যাচার হচ্ছে তার একটি বিচার হোক।