অমরাবতি: ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে ভোট মানে কার্যত ‘উৎসব’। ভোটের আগে নেতা-নেত্রীরা আম জনতাকে রাস্তা, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, কর্মসংস্থান সহ হরেকরকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। কোথাও কোথাও সেই প্রতিশ্রুতি মোতাবেক কাজ হয়। আবার কোথাও ভোট ফুরোলে নেতাদের টিকির নাগালও পাওয়া যায় না। ফলে অপূর্ণ থেকে যায় নানা দাবি। তবে এবার অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলেগু দেশম পার্টি(টিডিপি)-র সভাপতি চন্দ্রবাবু নাইডু যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে। সুরাপ্রেমীদের কথা মাথায় রেখে তিনি প্রকাশ্য সমাবেশে বলেছেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে কম দামে মিলবে ভালো মানের মদ।
দেশে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই অন্ধ্রপ্রদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন। বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনের জন্য চন্দ্রবাবুর দল টিডিপি অন্ধ্রপ্রদেশের জনসেনার সঙ্গে জোট বেঁধেছে। বিজেপি-টিডিপি-জনসেনা জোট ইতিমধ্যে তাদের আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করেছে। রফা অনুযায়ী, বিজেপি ছয়টি লোকসভা এবং ১০টি বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। অন্যদিকে, টিডিপি ১৭টি লোকসভা এবং ১৪৪টি বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। জনসেনা দুটি লোকসভা এবং ২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে।
টিডিপি সভাপতি চন্দ্রবাবু নাইডু কুপ্পমের একটি নির্বাচনি সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন। বেশি দামে নিম্নমানের মদ বিক্রি করে মুনাফা লোটার জন্য প্রায়ই তিনি বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডির নেতৃত্বাধীন সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন। এদিনও সেই প্রসঙ্গ তোলেন। এরপরই নাইডু প্রতিশ্রুতি দেন, তাঁর দল রাজ্যে ক্ষমতায় এলে কম দামে মিলবে ভালোমানের মদ। চন্দ্রবাবু বলেন, ‘সমস্ত পণ্যের দাম অত্যধিক বেড়েছে, মদের দামও ঊর্ধ্বমুখী। আমি আপনাদের বলছি, টিডিপি সরকার গঠনের ৪০ দিনের মধ্যে ভালোমানের মদের দাম কমাবে।’ অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতি নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে।
সরকারি তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ সালে আবগারি রাজস্ব হিসেবে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। ২০১৯-২০ সালে যা ১৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ছিল। নাইডুর মদের দাম কমানোর প্রতিশ্রুতিতে বিজেপি-টিডিপি-জনসেনা জোট এখন ভোট বৈতরণী পার হতে পারে কিনা, সেটাই দেখার।