রায়গঞ্জ: ধর্ষণে অভিযুক্ত পুলিশ (Police) অফিসারের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এএসআই পদমর্যাদার জুয়েল সরকারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৩/৩৭৬/৪১৭/৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। তাকে চলতি মাসের ৪ তারিখ রায়গঞ্জ জেলা আদালতের সিজেএম কোর্টে তোলা হয়েছিল। বিচারক ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেইসময় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়নি। আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার অ্যাডিং সেকশন হিসেবে পকসো অ্যক্টে মামলা রুজু করে পুলিশ।
রায়গঞ্জের আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবী আশিস সরকার জানান, যখন ওই পুলিশ অফিসারের সঙ্গে তরুণীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়, সেই সময় সে নাবালিকা ছিল। তার বয়স ছিল ১৭ বছর। তা সত্ত্বেও পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়নি। আদালতের নির্দেশে এদিন পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে রায়গঞ্জের (Raiganj) এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে জুয়েল। তখন সে তরুণী নাবালিকা ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার সহবাসও করে। পরে ওই তরুণী বিয়ের কথা বললে তা নাকচ করে দেয় ওই পুলিশ অফিসার। এমনকি, বিয়ে করতে জোর করায় মেয়েটিকে প্রাণে মারার হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। ২০২৩-এ তরুণী জানতে পারেন, জুয়েল বিবাহিত এবং তাঁর সন্তানও রয়েছে। এরপরই রায়গঞ্জ মহিলা থানায় জুয়েলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। অভিযোগ দায়ের হতেই ওই পুলিশ অফিসারকে উত্তর দিনাজপুর থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরে বদলি করে দেওয়া হয়। চলতি মাসের চার তারিখ রায়গঞ্জ জেলা আদালতের সিজেএম কোর্টে আত্মসমর্পণ করে ওই পুলিশ অফিসার। এদিন তাকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতের পকসো কোর্টে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন।