শুভাশিস বসাক , ধূপগুড়ি : অজপাড়াগাঁয়ের এক রাজবংশী যুবক ও নেপালি মেয়ের ভালোবাসার গল্প। আর তার মাঝে ঢুকে পড়ে অপর ফেরিওয়ালা যুবকের না বলা ভালোবাসার কাহিনী। এ নিয়ে রাজবংশী ভাষায় পঙ্খী প্রথম ওয়েব সিরিজ তৈরি করলেন তিন জেলার তরুণ-তরুণীরা। রবিবার ২৮ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়েব সিরিজটি প্রকাশ্যে আনা হবে। ইতিমধ্যে প্রথম দফায় পাঁচটি এপিসোড তৈরি করেছেন তাঁরা। মোট ২০টি এপিসোড আনা হবে। ধাপে ধাপে সেগুলি ইউটিউবে রিলিজও করা হবে। তবে কোনও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পেলে সেখানেও রিলিজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ওয়েব সিরিজে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার তরুণ-তরুণীরা যাঁরা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা অভিনয় করে সুনাম কেড়েছেন, তাঁদেরই অভিনয়ে আনা হয়েছে। অভিনয়ে মূল চরিত্রে কোচবিহারের সুশান্ত বর্মন, শ্রেয়া অধিকারী, আলিপুরদুয়ারের ভুটনিরঘাটের প্রীতম রায় সহ ধূপগুড়ির আরও অনেক শিল্পী রয়েছেন।
আর তরুণ-তরুণীদের পিছন থেকে উৎসাহ দিয়েছেন কামতাপুর ভাষা আকাদেমির চেয়ারম্যান তথা ওয়েব সিরিজের লেখক বজলে রহমান ও ধূপগুড়ির এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তথা ওয়েব সিরিজের পরিচালক মিন্টু ইসলাম। তাঁরা জানিয়েছেন, একটি রাজবংশী অধ্যুষিত গ্রাম, যেখানে চরিত্রায়ণ হয়েছে রাজবংশী তরুণ দেবেন এবং নেপালি মেয়ে পঙ্খীর বসবাস। দুজনের মধ্যে ভালোবাসা এবং সেই থেকেই বিয়ে হয়ে পূর্ণতা পায়। কিন্তু এই দুজনের ভালোবাসার মধ্যে অপর তরুণ ফেরিওয়ালা রাজু ঢুকে পড়েন। পঙ্খী এবং রাজুর মধ্যে ভালোলাগা থেকে না বলা ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়। এরই মধ্যে রাজুরও ভিনজায়গায় বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। তবে ওই না বলা ভালোবাসার সম্পর্ক পরবর্তীতে কোন পর্যায়ে পৌঁছায় তা ধাপে ধাপে ওয়েব সিরিজে আনা হবে। আলিপুরদুয়ার জেলার ভুটনিরঘাটের যুবক প্রীতম রায় তথা ওয়েব সিরিজে ফেরিওয়ালা রাজু বলেন,‘এই প্রথমবার রাজবংশী ভাষায় ওয়েব সিরিজ আসছে। মানুষের মধ্যে একটা আকর্ষণ তৈরি করবে বলে মনে করছি। প্রথম দফায় পাঁচটি এপিসোড আনা হবে। পরবর্তীতে বাকি ১৫টি এপিসোড আনা হবে।’
বজলে রহমানের কথায়, ‘আমরা খুবই আশাবাদী, কারণ এর আগে শর্টফিল্ম এলেও এমন ওয়েব সিরিজ আসেনি। আর যাঁরা ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই নেটিজেনদের মধ্যে পরিচিত মুখ। রিলিজ হলে যথেষ্ট সাড়া পাওয়া যাবে বলেই মনে করছি।’ ওয়েব সিরিজের পরিচালক মিন্টু ইসলাম বলেন, ‘শিলিগুড়ি, ধূপগুড়ি, তেলিপাড়া এলাকায় ওয়েব সিরিজের শুটিং হয়েছে। একেবারে আলাদাভাবে অজপাড়াগাঁয়ের রাজবংশী তরুণ ও নেপালি তরুণীর ভালোবাসা এবং পূর্ণতা পাওয়ার কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তেমনি না বলা ভালোবাসার কথাও বলা হয়েছে।’