চাঁদকুমার বড়াল, কোচবিহার: পর্যটনের প্রসারে এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের উৎপাদিত পণ্য গোটা দেশে ছড়িয়ে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে কোচবিহার জেলা প্রশাসন। এবার রাজবাড়ি পার্কে হচ্ছে হস্তশিল্পের বিপণনকেন্দ্র। যেখানে এক ছাদের তলায় হাতে তৈরি গামছা, মেখলা, রেডিমেড বাহারি পোশাক মিলবে। তার সঙ্গে সেখানে একটি কাফেটারিয়াও করা হবে। আনন্দময়ী ধর্মশালায় পর্যটকদের সুবিধার জন্য ঘরোয়া খাবাবের স্টল থাকবে। জেলা শাসকের দপ্তরের সামনেও খাদ্যছায়া প্রকল্পে হচ্ছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্যাফে। সবমিলিয়ে তিনটি প্রকল্পে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করবে জেলা গ্রামোন্নয়ন সেল।
জেলা গ্রামোন্নয়ন সেলের ডেপুটি পিডি সৌমনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, জেলা শাসকের নির্দেশে সমস্ত প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। এর মাধ্যমে ভালো আয়ের মুখও দেখবে গোষ্ঠীগুলো। তারসঙ্গে তাদের তৈরি সামগ্রী গোটা দেশের বাজার পাবে।
রাজবাড়ির পাশে রয়েছে রাজবাড়ি পার্ক। সেখানে সারাবছরই দেশের নানা প্রান্তের পর্যটকরা আসেন। এখানে পার্কে ঢোকার মুখে বড় মাঠের মতো জায়গা রয়েছে। সেখানেই সৃষ্টিশ্রী প্রকল্পে হাতে তৈরি সামগ্রীর বিপণনকেন্দ্র হবে। দোতলা ভবনের নীচে থাকবে মেখলা থেকে শীতলপাটি, জ্যাম, আচার থেকে শুরু করে বেত ও বাঁশের তৈরি সামগ্রী। আবার তার উপরেই হবে কাফেটারিয়া। সেখানে নানা প্রকার খাবার বিক্রি করবেন তাঁরাই। তাই পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য সুন্দরভাবে সাজানো হবে এই ভবনটি। সবমিলিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা খরচ হবে প্রকল্পে। পূর্ত দপ্তর কাজটি করবে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের হাতে তৈরি সামগ্রী এখানে আসবে। তবে টেন্ডার করে যে গোষ্ঠী কাজটি পাবে তারাই সামগ্রী নিয়ে আসার দায়িত্বে থাকবে।
অন্যদিকে, কোচবিহার আনন্দময়ী ধর্মশালায় সারাবছরই পর্যটকরা আসেন। তবে এখানে থাকার ব্যবস্থা থাকলেও খাওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই পর্যটকদের বাইরে থেকে খাবার খেতে হয়। তাঁদের কথা মাথায় রেখে এখানে থাকা ছোট পাক ঘরটি সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ করে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হবে। এখানেও স্বনির্ভর গোষ্ঠী খাবারের দায়িত্বে থাকবে। এতে পর্যটকদের আর বাইরে যেতে হবে না খাবারের সন্ধানে। জেলা শাসকের দপ্তরে এখন ভালোমানের কোনও খাবাবের ব্যবস্থা নেই। তাই জেলা শাসকের দপ্তরের কর্মী ও এখানে কাজে আসা লোকজনের কথা চিন্তা করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পরিচালিত একটি খাবারের স্টল খোলা হবে।