উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ মুদির দোকানে জিনিস ডেলিভারি দিতে এসে বাড়িতে একা পেয়ে যায় তরুণীকে। সেই সুযোগে জোর-জবরদস্তি ঘরে ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে গেল ডেলিভারি বয়। এরপর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে গেলে এক পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশ পায়ে গুলি চালিয়ে যুবককে ধরাশায়ী করে হাতকড়া পড়ানো হয়। বর্তমানে একটি হাসপাতালে অভিযুক্তের চিকিৎসা চলছে।
এটা কোনও সিনেমার প্লট নয়। ঘটনাটি ঘটেছে গ্রেটার নয়ডায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ বছর বয়সি অভিযুক্ত যুবকের নাম সুমিত সিং। সে একটি গ্রসারি ডেলিভারি সংস্থার কর্মী। শুক্রবার ওই সংস্থা থেকেই অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে কিছু মুদিখানার সামগ্রী অর্ডার করেছিলেন এক তরুণী। সেই দিনই সুমিত পন্য ডেলিভারি করতে এসে দেখে বাড়িতে একাই রয়েছে তরুণী। এরপরই তরুণীর কাছে জল খেতে চায়। তরুণী জল আনতে ঘরে ঢুকতেই সেই সুযোগে ঘরে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। বিপদ বুঝে তরুণী চিৎকার শুরু করলে যুবক তাঁর মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তারপর রক্তাক্ত অবস্থায় নিগৃহীতাকে সেখানেই ফেলে রেখে পালায় সে।
এই ঘটনার পর পুলিশে খবর দেন নির্যাতিতা তরুণী। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে শনাক্ত করে। পরে পুলিশ অভিযুক্ত যুবকের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে অভিযুক্তকে ধরতে তৎপরতা শুরু করে পুলিশ। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখে পুলিশ যুবককে ধরতে পৌঁছে যায় গ্রেটার নয়ডার একটি আবাসনে।
কিন্তু তদন্তকারীদের দল তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলেই বিপত্তি বাঁধে। জানা গেছে, সুমিত সুযোগ বুঝে এক পুলিশ কনস্টেবলের সার্ভিস পিস্তল ছিনিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ তার পিছু নেয়। এরপর কাছাকাছি যেতেই তদন্তকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে অভিযুক্ত। তবে পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। পুলিশের ছোঁড়া গুলি লাগে যুবকের পায়ে। ধরাশায়ী হয়ে পড়ে সুমিত। তারপরেই তার হাতে হাতকড়া পড়ানো হয়। বর্তমানে একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই প্রথমবার নয়, সুমিতের বিরুদ্ধে এর আগেও বেশ কিছু মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এবার ধর্ষণ সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করছে পুলিশ।