কলকাতা: র্যাশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। শুক্রবার তাঁকে ব্যাংকশাল আদালতে তোলা হয়। কিন্তু শুনানি চলাকালীন আচমকা জ্ঞান হারান তিনি। আদালত থেকে বের করা হচ্ছে তাঁকে। এদিকে এই মামলায় বিচারপতি জানান, এখনও পর্যন্ত যে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তা খুব মজবুত নয়। এই মামলায় এখনও বেশকিছু খামতি রয়েছে। বিচারক এও জানিয়েছেন, হেপাজতে থাকাকালীন বাড়ির খাবার পাবেন মন্ত্রী। দিনে এক ঘণ্টা করে আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ইডি হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। এদিন হেপাজতের নির্দেশ দেওয়ার পরই অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০ ঘণ্টা টানা তল্লাশির পর র্যাশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় রাজ্যের মন্ত্রীকে। যদিও এই গ্রেপ্তারির পেছনে বিজেপির ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী। গ্রেপ্তারের পর ইডি দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে ঢোকেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁর বাড়িতে চলে দীর্ঘ তল্লাশি অভিযান। পাশাপাশি ইডি হানা দেয় মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র আপ্ত সহায়ক অমিত দে-র বাড়িতেও। এছাড়া সমান্তরালভাবে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠদের বাড়িতেও তল্লাশি চলে। মন্ত্রীর আমহার্স্ট স্ট্রিটের বেনিয়াটোলা লেনের বাড়িতেও যায় ইডি।
সূত্রের খবর, রাত ১.৩৫ মিনিটে অ্যারেস্ট মেমোতে সই করানো হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। শুক্রবার গভীর রাত ৩টা ২২ মিনিট নাগাদ তাঁকে বাড়ি থেকে বের করা হয়। ৩টা ৩০ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দপ্তরে আনা হয়। ইডি সূত্রে খবর, একটানা জিজ্ঞাসাবাদের পর জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেপ্তার করে সল্টলেকের বাড়ি থেকে সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। তদন্তে অসহযোগিতা, বয়ানে অসঙ্গতি সহ একাধিক অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সকালে তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বের করার সময় সংবাদমাধ্যমের সামনে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার আমি। বিজেপি ষড়যন্ত্র করেছে। শুভেন্দু ষড়যন্ত্র করেছে।’ এদিকে এদিনই মন্ত্রীকে নিজেদের হেপাজতে চেয়ে ব্যাংকশাল আদালতে তোলা হয়। সেইসময় আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।