আয়ুষ্মান চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার: রাভা সম্প্রদায়ের (Rava community) জনজাতির মধ্যে কালবাঁশি বাজানোর প্রথা অত্যন্ত প্রাচীন। বাঁশ দিয়ে তৈরি এই বিশেষ বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার হয়ে থাকে মৃত্যুর পর আত্মার শান্তিকামনায়। কোনও শুভ অনুষ্ঠানে এই বাঁশি বাজানোর নিয়ম নেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই বাঁশি বাজানোর প্রথাও লুপ্ত হতে বসেছে। তাই ষষ্ঠ বর্ষ বক্সা ট্যুরিজম এবং কালচারাল কার্নিভালের (Buxa tourism and cultural carnival) মঞ্চে হয়ে গেল কালবাঁশি উৎসব। কার্নিভালের আজ পঞ্চম দিন। সাউথ পোরো ইকো পার্কে রাভা ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল এবং কোচা বোসনি লণ্ডকের ব্যবস্থাপনায় এই উৎসব হয়। উৎসবে কালবাঁশি বাজান রাভা সম্প্রদায়ের মানুষেরা। কার্নিভাল কমিটির তরফে রামকুমার লামা জানান, কালবাঁশি বিলুপ্তির পথে। তাই এটিকে বাঁচিয়ে রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কালবাঁশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে আলিপুরদুয়ার জেলায় মাত্র ৩টি কালবাঁশি আছে। জঙ্গল থেকে নলবাঁশ সংগ্রহ করে সেটাকে রোদে শুকানো হয়। তারপর বাসের চিকন কাঠি তৈরী করে ওই বাঁশের ভেতরের গিটগুলো খোলা হয়। এইভাবে কালবাঁশি তৈরী হয়। কালবাঁশি শিল্পী সোনিরাম রাভা জানান, আগে কখনও কালবাঁশি নিয়ে অনুষ্ঠান হয়নি। এটাকে নিয়েও উৎসব হচ্ছে দেখে খুবই ভালো লাগছে। ফোস্কাডাঙার বিমল রাভা জানান, এমন উদ্যোগ কালবাঁশি বাজানোর প্রথাকে বাঁচিয়ে রাখতে উৎসাহ যোগাবে।