নিউজ ব্যুরো: তিস্তায় জারি লাল সতর্কতা। বুধবার সকাল ১০টায় তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে সেচ দপ্তর। সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেচ দপ্তরের তরফে। সেই সঙ্গে তিস্তার দোমোহনি থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে সেচ দপ্তর। এদিন সকাল ১০টায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে ৮২৫২.৪০ কিউমেক। আরও জলস্তর বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। তিস্তার পাড় সংলগ্ন এলাকায় মাইকিং করে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে। নদীপারে থাকা লোকেদের নিরাপদে সরিয়ে দিচ্ছেন পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। স্বাভাবিকের থেকে ৩০-৩৫ ফুট ওপর দিয়ে বইতে পারে তিস্তার জল।
মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে উত্তর সিকিমের চুংথাংয়ে দক্ষিণ লোনাক হ্রদে ব্যাপক জলস্ফীতি হয়েছে। যার জেরে হ্রদের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। সেই জল ঢুকেছে তিস্তায়। জল ধরে রাখতে না পেরে তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে। এতে নদীর জলস্তর অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, দেখা দিয়েছে হড়পা। সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের তিস্তা সংলগ্ন এলাকার মানুষকে সতর্ক করেছে প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে নদী সংলগ্ন এলাকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হচ্ছে। জলপাইগুড়ির দোমোহনি, কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি, মেখলিগঞ্জেও তিস্তায় জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। এসডিও-বিডিওরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন।