কিশনগঞ্জঃ প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও শ্যালকের দ্বিতীয় বিয়ে দিতে গিয়ে জনতার হাতে প্রহৃত হলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের আরারিয়ার প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সরফরাজ আলম। এমনই এক ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত প্রাক্তন সাংসদের ছোট শ্যালক। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, এর আগে গুড্ডুর বিয়ে হয়েছিল সিমরাহা থানা এলাকার ডোরিয়া সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা রাহাত পারভিন ওরফে সুহানীর। পরবর্তীতে তাদের দুজনের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিল রাহাত। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই আইনিভাবে বিবাহবিচ্ছেদ না হওয়া দ্বিতীয় বিয়ের পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন গুড্ডু। বৃহস্পতিবার রাতে আরারিয়া শহরের মহাদেব চকের একটি হোটেলে স্থানীয় এক পাত্রীর সঙ্গে বিয়ের আসর বসেছিল গুড্ডুর। এই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিহারের প্রাক্তন ভূমি ও রাজস্ব মন্ত্রী তথা আরারিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সরফরাজ আলম। তিনিই বিয়ে দিচ্ছিলেন তার ছোট শ্যালক মুনাম হোসেন ওরফে গুড্ডুর।
এই বিয়ের খবর কোনওভাবে কানে আসে প্রথম পক্ষের স্ত্রী রাহাতের। শোনামাত্রই দলবল নিয়ে তিনি হাজির হন স্বামীর বিয়ের অনুষ্ঠানমঞ্চে। বেগতিক দেখে বিবাহমঞ্চ থেকেই বিয়ের পোশাকেই পালিয়ে যায় পাত্র গুড্ডু। ঘটনাস্থলে তাণ্ডব শুরু করে রাহাত ও তাঁর দলবল। মহিলার অভিযোগ, ‘এই ঘটনায় নাটের গুরু জামাইবাবু সরফরাজ। গুড্ডুর সঙ্গে আমার তালাক হয়নি। তা সত্ত্বেও কিভাবে উনি ছোট শ্যালকের দ্বিতীয় বিয়ে দিচ্ছিলেন?’ এরপরই সমস্ত ক্ষোভ গিয়ে পড়ে সরফরাজের ওপর। তাঁকে সামনে পেয়ে ব্যাপক মারধোর করে রাহাতের লোকজন। মার খেয়ে গুরুতর জখম হন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে জখম অবস্থায় সরফরাজকে উদ্ধার করে আরারিয়া থানার পুলিশ। প্রথমদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও শুক্রবার মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এরপরই চাপে পড়ে যায় আরজেডি নেতা। যদিও প্রাক্তন সাংসদের বক্তব্য আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।
অপরদিকে আরারিয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রামপুকার সিং জানান, ঘটনার পর দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে প্রাক্তন সংসদের ছোট শ্যালক গুড্ডু। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আর হোটেলের সি সিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
