উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ রবিবার দুপুরে ২০০ কিলোমিটার বেগে সুপার সাইক্লোন মোকা আছড়ে পড়েছিল মায়ানমারে। বাংলাদেশের উপজেলা টেকনাফ ও কক্সবাজারে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে ঘন্টায় ১৪৭ কিলোমিটার বেগে। শুধুমাত্র কক্সবাজারেই ক্ষতিগ্রস্ত ১০ হাজার বাড়ি। ঘূর্ণিঝড় মোকার তাণ্ডবে ক্ষতির মুখে পড়লেন রোহিঙ্গারাও। মারাত্মক প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে প্রায় ১৩০০ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মোকার তাণ্ডবে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা তাদের আশ্রয় হারিয়েছেন। ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উখিয়ার বালুখালি ১০ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে। সেখানে ২৩২টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উখিয়ার ৬ নম্বর শিবিরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০৯টি ঘর। বৃষ্টি থামলে ঘরগুলি সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে সে দেশের প্রশাসন। উখিয়া এবং টেকনাফে সরকারি খাতায় নথিভুক্ত থাকা রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লক্ষ।
মারাত্মক প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়ে রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ এবং মায়ানমার উপকূল দিয়ে অতিক্রম করে মোকা। ঝড়ের ঝাপটায় বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার দুপুর আড়াইটের সময় সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ঝড়ের বেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪৭ কিমি। সোমবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সহ প্রায় সর্বত্রই প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে। বিপর্যস্ত সেদেশের জনজীবন।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র আঘাতে মায়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইন প্রদেশে অন্তত তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অ্যাসোসিয়েট প্রেস বলেছে, রাখাইনে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে অনেক ভবনের ছাদ উড়ে গেছে ও অন্তত তিনজনের প্রাণহানি ঘটেছে। শক্তিশালী এ ঝড়ের তান্ডব থেকে বাঁচতে লক্ষাধিক মানুষ মঠ, প্যাগোডা ও স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। মায়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ বলেছে, সিত্তে শহরের কাছে ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটারের বেশি বাতাসের গতিবেগে নিয়ে আছড়ে পড়ে ‘মোকা’র অগ্রভাগ।