পূর্ণেন্দু সরকার, জলপাইগুড়ি: এবার শীতের মরশুমে উত্তরবঙ্গে বিশেষ অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম (Adventure Tourism) চালু করতে চলেছে বন দপ্তর। গরুমারা (Gorumara) বন্যপ্রাণ বিভাগের উদ্যোগে নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যানের (Neora Valley National Park) কাছে সামসিং (Samsing) এলাকাকে ঘিরে মাউন্টেন বাইকিং (Mountain Biking) চালু করা হচ্ছে। নভেম্বর কিংবা ডিসেম্বর থেকেই তা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন গরুমারার ডিএফও দ্বিজপ্রতীম সেন।
মাউন্টেন বাইকিং বলা হলেও আসলে গিয়ার লাগানো মোটা চাকার বিশেষ সাইকেলই এই কাজে ব্যবহৃত হয়। আপাতত সামসিং, সুনতালেখোলা, মণ্ডলগাঁও, কুমাই টপলাইনের মতো জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং জেলার বেশ কয়েকটি রুটকে চিহ্নিত করেছে গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগ। ডিএফও বলেন, ‘বর্ষার সময় এই ধরনের অ্যাডভেঞ্চার সম্ভব নয়। আমাদের সমস্ত রুট সার্ভে শেষ। এবছর ডিসেম্বরের মধ্যেই সামসিং থেকে এই পরিষেবা চালু করা হবে।’ ডিএফও’র সংযোজন, সমস্ত ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই মাউন্টেন বাইকিং চালু করা হবে। সেজন্য এই ধরনের অ্যাডভেঞ্চারে যুক্ত একাধিক সংস্থার সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করছেন। বনকর্মীরাও থাকবেন। তবে কতজন একসঙ্গে অংশ নেবেন, কত খরচ হবে সেসব এখনও চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত হয়নি রুটও। তবে প্রাথমিকভাবে সামসিং থেকে সুনতালেখোলা পর্যন্ত অ্যাডভেঞ্চার চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে৷ এই উদ্যোগ এরাজ্যে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম এক নতুনমাত্রা যোগ করবে বলে আশা ডিএফও’র।
বন দপ্তরের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান মাউন্টেনারিং ফাউন্ডেশনের গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য ভাস্কর দাস। তিনি জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে বন দপ্তরের উদ্যোগে এই রুটকে ধরেই মাউন্টেন বাইকিংয়ের ট্রায়াল রান হয়েছিল। পরে আর বিষয়টি এগোয়নি। চালসা থেকে মেটেলি হয়ে সামসিং, ইয়ংটং, মণ্ডলগাঁও, সুনতালেখোলা, মূর্তি, ঝালং, জলঢাকা, খুনিয়া হয়ে ফের মূর্তি বা চালসায় অ্যাডভেঞ্চার শেষ করা যেতেই পারে। তবে, এই রুটে খুব একটা যানবাহন চলাচল করে না। অ্যাডভেঞ্চারে যাঁরা অংশ নেবেন তাঁদের পথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। এই অ্যাডভেঞ্চারের জন্য লাভা রুটও বেশ ভালো বলে বক্তব্য ভাস্করের। তাঁর সংযোজন, সরকারের তরফে ব্যাপক মাত্রায় প্রচারের প্রয়োজন। নইলে ছেলেমেয়েরা আসবেন না। খরচও সাধ্যের মধ্যে রাখতে হবে।