সুভাষ বর্মন, পলাশবাড়ি: আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের পলাশবাড়ির বুক চিরে চলে যাওয়া সনজয় নদীকেই ‘গঙ্গা’ রূপে মানা হয়। আর এবার প্রথম এই নদীকে কেন্দ্র করে বেনারসের পুরোহিতদের গঙ্গা আরতি দেখলেন পলাশবাড়িবাসী। এখানকার শিলবাড়িহাট ব্যবসায়ী সমিতির বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান (Cultural Events) শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। তবে এবারের অনুষ্ঠানকে একেবারেই ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে দিল গঙ্গা আরতি। এই আরতি দেখতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি স্থানীয়দের ভিড় উপচে পড়ে। এদিনই পরপর পরিবেশিত হয় দুটি নাটক। সেখানেও দর্শকের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
এদিন শিলবাড়িহাট ব্যবসায়ী সমিতির আমন্ত্রণে পলাশবাড়িতে বেনারস থেকে ভীষ্ম শর্মা, কেশব ভাণ্ডারির পাশাপাশি অসম ও ভুটান থেকেও পূজারিরা আসেন। এজন্য ক’দিন আগে থেকেই শিলবাড়িহাট বাজারের দক্ষিণ দিকে সনজয় নদী চত্বরকে সাজিয়ে তোলার প্রস্তুতি চলছিল। এদিন সন্ধ্যায় সেখানে গঙ্গা আরতি হয়। স্থানীয় তরুণী অনিশা পোদ্দারের কথায়, ‘পলাশবাড়িতে এবারই প্রথম এরকম গঙ্গা আরতির আয়োজন হল। দেখে ভীষণ ভালো লাগল।’
স্থানীয় দিবাকর দত্ত, অরূপ দাসদেরও একই বক্তব্য।
স্থানীয়দের কথায়, সনজয় নদীকেই এলাকায় গঙ্গা মনে করা হয়। এখানকার ভুঁইয়াবাড়ির দুর্গাপুজোর সময়ও এই নদীতে গঙ্গাপুজো হয়। আবার অষ্টমীপুজোতেও পশ্চিম কাঁঠালবাড়িতে প্রতিমা তৈরি করে গঙ্গাপুজো হয়।
আরতির পাশাপাশি এদিন ব্যবসায়ী সমিতির অনুষ্ঠান মঞ্চে স্থানীয় বলাকা নাট্যগোষ্ঠী ‘সহানুভূতি’ এবং ভাবনা নাট্যম ‘আহারে মরণ’ নাটক (Drama) পরিবেশন করে। এছাড়া, গত বছর রাজ্য ভাওয়াইয়া প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থানাধিকারী শালকুমারহাটের দৃষ্টিহীন শিল্পী রঞ্জন রায়কেও সংবর্ধনা (Felicitation) দেওয়া হয়।
শিলবাড়িহাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নিখিলকুমার পোদ্দারের কথায়, ‘শনিবার কাঁচা বাদাম খ্যাত শিল্পী ভুবন বাদ্যকরের অনুষ্ঠান হবে। এছাড়া, রবিবার পর্যন্ত নানা সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠান থাকছে।’