হরিশ্চন্দ্রপুর: মুখ্যমন্ত্রী স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রী। আন্তর্জাতিক পুরস্কার পর্যন্ত পেয়েছে এই প্রকল্প। এবার হরিশ্চন্দ্রপুরে এই কন্যাশ্রী প্রকল্প ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। এই প্রকল্পে এক ছাত্রীর টাকা এলাকারই এক মাছ ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্টে ঢোকানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এখন প্রকৃত উপভোক্তা টাকা ফেরত চাইলে টাকা দিতে অস্বীকার করছে ওই মাছ ব্যবসায়ী। ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। শুক্রবার থানা এবং ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই ছাত্রী। ছাত্রীর অভিযোগ পেয়ে হতবাক বিডিও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত হরদমনগরের বাসিন্দা রিকিতা চৌধুরী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। দৌলতপুর হাই স্কুলের ছাত্রী সে। বাবা অনাদি চৌধুরী কৃষিকাজ করেন। টানাটানির সংসারে কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকার জন্য আবেদন করেছিল রিকিতা। বঙ্গীয় গ্রামীন বিকাশ ব্যাংকের খিদিরপুর শাখাতে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তার। কিন্তু কন্যাশ্রীর ২৫ হাজার টাকা তার অ্যাকাউন্টে না ঢুকে তালসুর গ্রামের বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী দেবেন মহালদারের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। ঘটনা জানতে পারার পর দেবেন মহালদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে রিকিতার পরিবার। প্রথমে তিনি টাকা ফেরত দিয়ে দিতে রাজি হলেও পরে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। এনিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে রিকিতা। এক জনের কন্যাশ্রী টাকা কি ভাবে অন্যজনের অ্যাকাউন্টে গেল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। রিকিতা চৌধুরী বলেন, ‘সব ঠিক নথি দিয়েই রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম। প্রাপ্য টাকা পেতেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।’ রিকিতার বাবা অনাদি চৌধুরী বলেন, ‘আমি কৃষি কাজ করি। পরিবারে তিন সন্তান। গরিব মানুষ আমরা। আমার মেয়ের টাকাটা যাতে আমার মেয়ে পাই আমি সেটাই দাবি করছি।’ তবে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, রিকিতা এই স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। তার আগে যে স্কুলে ছিলেন, সেখানেই অষ্টম শ্রেণিতে তার কন্যাশ্রীর রেজিস্ট্রেশন হয়ে গিয়েছিল। সেই নথিই এই স্কুলের তরফে পাঠানো হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের সময় ভুল নথি দিয়ে থাকলে স্কুলের কিছু করার নেই।
দৌলতপুর হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাতিন বলেন, ‘স্কুলে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পের কাজ করা হয়। আমাদের ভুল হওয়ার কথা নয়।’ এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও বিজয়গিরি জানান, সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে, যাতে ওই ছাত্রী টাকা পায় সে দিকটাও দেখা হবে। ’