বালুরঘাট: প্রায় আট মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না নিরাপত্তারক্ষীরা। তবু নির্বিকার জল সেচ দপ্তর। বুধবার এমনই অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দপ্তরের নিরাপত্তারক্ষীরা। একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা কোনরকম কর্ণপাত করছেন না বলে অভিযোগ। এমনকি এদিন শ্রম দপ্তরের আধিকারিককেও লিখিতভাবে সেচ দপ্তরের ১২ জন নিরাপত্তারক্ষী অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের বেতন মিটিয়ে না দিলে আগামীতে বড় আন্দোলনে নামবেন বলে সাফ জানিয়েছেন তাঁরা।
বিনা অনুমতিতে দপ্তরে কেউ প্রবেশ করছে কি না অথবা দপ্তরের নিরাপত্তা যাদের হাতে তাঁরাই কার্যত আর্থিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সংসার টানতে কাল ঘাম ছুটছে সেই নিরাপত্তারক্ষীদের। বালুরঘাটের পুলিশ লাইন এলাকায় রয়েছে জল সেচের দপ্তর। যেখানে একাধিক ভবনে নিরাপত্তারক্ষীরা মোতায়েন থাকেন। মূল দরজার সামনেও সবসময় নিরাপত্তারক্ষীরা দায়িত্ব পালন করছেন দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে। একটি সিকিউরিটি এজেন্সির মাধ্যমে কাজ পেয়েছিলেন তাঁরা। প্রথম পর্যায়ে ঠিকঠাক বেতন দেওয়া হলেও গত ৮ মাস ধরে তাঁদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এই দপ্তরে পালা করে ১২ জন নিরাপত্তারক্ষী দায়িত্ব সামলান। বেতন না পেয়ে পরিবার নিয়ে সংসার সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। সেচ দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে নিরাপত্তারক্ষীরা একজোট হয়ে সেচ দপ্তরের দরজা আটকে আন্দোলনে নেমে পড়েন। বেতন আদায়ের দাবিতে সরব হন তাঁরা। যদি দ্রুত বেতন না দেওয়া হয় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেও তাঁরা পিছুপা হবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
নিরাপত্তারক্ষী জনি রায় বলেন, ‘দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আমরা ১২ জন নিরাপত্তারক্ষী এখানে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে চলেছি। কিন্তু গত আট মাস ধরে আমাদের বেতন বন্ধ হয়ে রয়েছে। কারোর কোনো হেলদোল নেই। বাধ্য হয়ে আমরা শ্রম দপ্তরের আধিকারিককে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি। তারা বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।‘
বালুরঘাট সেচ দপ্তরের মহকুমা আধিকারিক রঞ্জন রায়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বেতন বন্ধের বিষয়টি বলতে পারবেন বলে এড়িয়ে যান। জেলা সেচ দপ্তরের আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় কুমার ছুটিতে রয়েছেন বলে দপ্তরের তরফে জানা যায়। ফোন করা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।