রায়গঞ্জ: ভারত সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে আজ রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিয় রঞ্জন দাসমুন্সি সভাকক্ষে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালন করা হয়। এটি ভারত সরকারের একটি উদ্যোগ যা স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি উদযাপন এবং দেশের জনগণ, সংস্কৃতি ও সাফল্যের গৌরবান্বিত ইতিহাসকে স্মরণ করছে।
এই মহোৎসবে সেই সব শহিদদের স্মরণ করা হয় যাদের বীরগাথা এই প্রজন্ম সেভাবে মনে রাখেনি। নতুন করে বীরগাথাদের কথা জানানোর জন্য এই অমৃত মহোৎসবের আয়োজন করা হয়। এদিনের সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনন্দ গোপাল ঘোষ। এছাড়াও ছিলেন অধ্যাপক বিমল শঙ্কর নন্দ, পুরাতাত্ত্বিকবিদ ড. বৃন্দাবন ঘোষ, অধ্যাপক শুভম আমিন, রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার সহ অন্যান্যরা।
ভারতের জনগণকে উৎসর্গীকৃত যারা শুধুই ভারতকে অভিব্যক্তিমূলক যাত্রায় এতদূর নিয়ে আসতে সাহায্য করেননি, বরং তাঁদের মধ্যে এমন প্রাণশক্তি ও ক্ষমতা ছিল যার জন্য আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছি।সেই বিষয়টি তুলে ধরেন প্রত্যেকে। আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের যাত্রা শেষ হবে আগামী ১৫ আগস্ট। লাগাতার এক বছর ধরে দেশজুড়ে অনুষ্ঠান চলছে।
এদিনের অনুষ্ঠানের কনভেনর অধ্যাপক দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, উত্তর দিনাজপুর জেলার বিপ্লবী সরোজ বসু সেলুলার জেলে ছিলেন, একথা বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানেন না। বিধুভূষণ নাথকে গ্রেপ্তার করার জন্য ব্রিটিশ সরকার পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন। তার কথা হয়ত অনেকেই জানেন না। বিমলা প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, বামা প্রসাদ আচার্য্য, বীরেন দত্ত সহ আরও অনেকে আছেন এই গৌড়বঙ্গে এবং উত্তরবঙ্গে। এদের কথা ইতিহাসে পড়তে পারিনা, এদের আত্মবলিদান ছাড়া স্বাধীনতা সম্ভব ছিল না। কয়েকজনের নামকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমরা যারা উত্তরবঙ্গের মানুষ আছি তারা দেখেছি যে আমাদের যে আন্দোলন গোটা দেশ তো জানেই না, আমাদের সন্তান সন্ততিরাও জানে না। সুতরাং এটা জানানোর দায়িত্ব আমাদের। সেই দায়িত্বটুকু আমরা কাধে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছি।