নিবেদিতা দাস, শিলিগুড়ি: বিরল রোগে আক্রান্ত চয়ন পাড়ার ভাইবোন। তাঁদের চিকিৎসায় সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন অসহায় বাবা।
শিলিগুড়ির ঘোগোমালির চয়নপাড়ার বাসিন্দা জীতেন সূত্রধর। জীতেনবাবুর দুই ছেলেমেয়ে তাপসী (৩০) ও দীপঙ্কর (২৫)। দুই ভাইবোনই মায়োপ্যাথি নামে বিরল রোগে আক্রান্ত। প্রথম দিকে শুধু তাঁদের হাত-পা কাঁপত। কিন্তু গত ৫ বছর থেকে হাঁটার ক্ষমতাও হারিয়েছেন তাঁরা। শনিবার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, খুবই অসহায় অবস্থায় দিন গুজরান করছে পরিবারটি। বাড়ি কাঁচা, নেই বিদ্যুৎ সংযোগও। জীতেনবাবু নিজে হাঁপানির রোগী, হাতও ভাঙা। আগে কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন। কিন্তু হাত ভেঙে যাওয়ায় সেকাজও আগের মতো করতে পারছেন না। তাঁর স্ত্রীর শরীরও খুব একটা ভালো নয়।
পরিবারে চারজন সদস্য। বাড়িতে আয়ের উৎস কার্যত শূন্য। এই পরিস্থিতিতে সংসারের হাল ধরতে এগিয়ে এসেছেন ইতিহাসে এমএ তাপসীই। নিজের হাতে সেলাইয়ের কাজ করেন তিনি। যদিও অসুস্থতার কারণে ২টার বেশি কাপড় সেলাই করতে পারেন না তাপসী। সেকারণে সেলাই মেশিনের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। অপরদিকে, দীপঙ্কর বলেছেন, ‘বাড়িতে বসে কোনও কাজের ব্যবস্থা হলে খুবই ভালো হবে।’
চিকিৎসকরা বলছেন, মায়োপ্যাথির সঠিক কোনও চিকিৎসা নেই। শুধুমাত্র পুষ্টিকর খাবার এবং ফিজিওথেরাপি তাঁদের সুস্থ রাখবে। কিন্তু নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর সংসারে সেসবের ব্যবস্থা করাও মুশকিল। এমন অবস্থায় মায়োপ্যাথিতে আক্রান্ত দুই ছেলেমেয়ের জন্য প্রশাসন, কোনও সংস্থা বা সহৃদয় ব্যক্তির কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন জীতেনবাবু। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে পাশে পাবেন শহরবাসীকে, বিশ্বাস তাঁর।