ফালাকাটাঃ সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বৃদ্ধা মা’কে হত্যা করল ছেলে। হত্যার পর দেহটি ফেলে দেওয়া হয় সেপটিক ট্যাংকে। শনিবার সকালে বৃদ্ধার দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ফালাকাটা শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দেশবন্ধুপাড়ায়। খুনে অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে ফালাকাটা থানার পুলিশ। আটক করা হয়েছে ধৃতের স্ত্রীকে।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকমাস ধরেই পারিবারিক সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য ফালাকাটা শহরের দেশবন্ধুপাড়ার বাসিন্দা মায়া চট্টোপাধ্যায়কে(৬৩) চাপ দিচ্ছিলেন তাঁর ছেলে বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। এই নিয়ে বিবাদ লেগেই ছিল পরিবারে। দু-তিনদিন আগে বিবাদ চরমে উঠলে বাপ্পা তার স্ত্রী ডলি চট্টোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে নিজের মাকে হত্যা করে বলে অভিযোগ। এরপরই মায়ের নিথর দেহটি ফেলে দেয় বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে।
বৃদ্ধাকে হত্যা করার পরই বাপ্পা তার তিন মেয়েকে রেখে আসে ফালাকাটার এক আত্মীয়ের বাড়িতে। তিন মেয়ের মধ্যে এক মেয়ে তার বাবা মায়ের কীর্তির কথা জানিয়ে দেয় এক আত্মীয়কে। এরপরই সেই আত্মীয় খবর দেয় পুলিশকে। শনিবার সকালে পুলিশ এসে আটক করে মৃতার ছেলে বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী ডলিকে। পুলিশের জেরায় বাপ্পা পুলিশকে জানায় মা’কে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রেখেছেন। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলার জন্যই ছেলে ও বউ এর হাতে খুন হতে হল মা’কে। তবে কী ভাবে মায়া চট্টোপাধ্যায় খুন হলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।