চোপড়াঃ চোপড়া ব্লকের (Chopra) মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের নন্দকিশোরগছে বাল্যবিবাহ (Child marriage) আটকালেন ব্লক প্রশাসন (Block administration)। বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় এক মন্দিরে কিশোর কিশোরীর বিয়ের আয়োজন করেছিলেন জনাকয়েক গ্রামবাসী। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিয়ে ভেস্তে দেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল থেকে নাবালক (Minor) পাত্র-পাত্রীকে উদ্ধার করে এদিন রাতেই থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। শুক্রবার তাঁদের রায়গঞ্জের (Raiganj) একটি হোমে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা বিয়ের উদ্যোক্তারা।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় নন্দকিশোরগছ এলাকার একটি মন্দিরে স্থানীয় এক কিশোরের সঙ্গে এক কিশোরীর বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিশোর পাত্র এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পাত্রের বাড়িতে আপত্তি সত্ত্বেও স্থানীয়দের একাংশের উদ্যোগে মন্দিরে বিয়ের আয়োজন করা হয় এক নাবালিকার সঙ্গে। সেই খবর কানে আসতেই কাঁচাকালী ফাঁড়ির পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হন ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক। এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিয়ে আটকে দেন তাঁরা। সেই সময়ই বিয়ের উদ্যোক্তারা বেগতিক দেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ব্লক প্রশাসনের নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই পাত্র-পাত্রী দুজনকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। শুক্রবার দুজনকেই রায়গঞ্জ হোমে পাঠায় পুলিশ। বিয়ের উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে ঘটনার পর থেকে এলাকায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্থানীয়রা। মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা তথা চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কণিকা ভৌমিক অবশ্য বলেন, ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে রাতে এলাকায় একটি বাল্যবিবাহ আটকানো সম্ভব হয়েছে। যেহেতু ছেলে মেয়ে উভয়ের উপযুক্ত বিবাহের বয়স এখনও হয়নি সেকারণে দুজনকেই হোমে পাঠিয়েছে পুলিশ।