শিলিগুড়িঃ মাত্র দুই মিনিটের ঝড়েই সর্বস্বান্ত। উড়িয়ে নিয়ে গেল একের পর এক বাড়ির চাল। নিমেষে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হল ময়নাগুড়ি ব্লকের বার্নিশ এলাকা। রবিবার বিকেলে মিনি টর্নেডোর তাণ্ডব প্রত্যক্ষ করলেন এলাকার বাসিন্দারা। আর এই ঝড়েই গুরুতর জখম আড়াই বছরের মেয়ে পিহু রায়। বর্তমানে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছে শিশুটির পরিবারের লোকেরা।
রবিবার বিকেলে ময়নাগুড়ি ব্লকে তাণ্ডবলীলা চালায় বিধ্বংসী ঝড়। ঝড়ে মৃত্যু হয় জলপাইগুড়ি জেলার মোট ৫ জন। আহতের সংখ্যাও শতাধিক। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার জেলায় ধূলিস্যাৎ হয়েছে হাজার হাজার ঘর। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকে। এদিন ঝড়ের বিধ্বংসী রূপ অসহায়ভাবে প্রত্যক্ষ করলেন ময়নাগুড়ির ব্লকের বার্ণিশ এলাকার বাসিন্দারা। এই গ্রামেরই একাধিক বাসিন্দা গুরুতর জখম হয়ে ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল ও শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় বাসিন্দা তমাল রায় জানান, মাত্র দুই মিনিটের বিধ্বংসী ঝড়ে সব লন্ডভন্ড হয়ে যায়। উড়িয়ে নিয়ে যায় ঘরের চাল। ভেঙে পড়ে ঘরের একাংশ। সেই অংশ এসে পড়ে তার কোলে থাকা মাত্র আড়াই বছরের শিশু পিহু রায়ের ওপরে। ঝড়ের তাণ্ডবের মধ্যেই তাঁর শিশুকন্যাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান ময়নাগুড়ি গ্রামীন হাসপাতালে। সেখান থেকে রেফার করা হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নিয়ে আসা হয় শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে আড়াই বছরের পিহু।
এই বার্ণিশ গ্রামেরই বাসিন্দা দীনবন্ধু রায় শিলিগুড়িতে এসেছেন ঝড়ে আহত তাঁর ভাইপোকে চিকিৎসা করাতে। তিনি জানান, ঝড়ের দাপটে উড়ে যায় তাঁদের ঘরবাড়ি। নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ারও সময় পাননি তাঁরা। এই ঝড়ে গুরুতর জখম অবস্থায় জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর দাদা ধনঞ্জয় রায় ও তাঁর স্ত্রী। শিলিগুড়ির নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন তাঁর ভাইপো রোহিত রায়। ঝড়ের দাপটে সর্বস্ব হারিয়ে তাঁরা পথে বসেছেন। তিনি সরকারি সাহায্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।