শুভাশিস বসাক, ধূপগুড়ি: পরিকাঠামোর পরিবর্তন না হলেও মহকুমা হাসপাতালের তকমা পেল ধূপগুড়ি (Dhupguri) গ্রামীণ হাসপাতাল (Rural Hospital)। বৃহস্পতিবার প্রশাসনিকভাবেই ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের ব্যানার ঢেকে দিয়ে তার ওপর মহকুমা হাসপাতালের (Sub Divisional Hospital) ব্যানার লাগানো হয়। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। পাশাপাশি শীঘ্রই ১০০টি বেড বিশিষ্ট মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ির জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ঘোষণার পরই এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে।
এদিন ময়নাগুড়ির জনসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতাল আগামী তিন মাসের মধ্যেই তৈরি করা হবে। নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলে সবটাই নির্বাচন কমিশনের হাতে চলে যায়। তাই জুলাই মাসের শেষ তারিখের মধ্যে মহকুমা হাসপাতাল গড়ে তোলার দায়িত্ব নিচ্ছি।’ এ বিষয়ে বিজেপির ধূপগুড়ি টাউন মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক পাপাই বসাক বলেন, ‘ধূপগুড়িকে মহকুমা হিসেবে স্বীকৃতির দাবি সমস্ত স্তর থেকেই উঠে এসেছিল। তার বাস্তবায়ন হয়েছে। এটি অত্যন্ত ভালো দিক। তবে পরিকাঠামো তৈরি না করেই গ্রামীণ হাসপাতালে মহকুমা হাসপাতালের ব্যানার লাগানো হল, এতে মানুষ বিভ্রান্ত হবেন।’ ধূপগুড়ির বিধায়ক তথা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলার প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায় বলেন, ‘প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অপর নাম তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগে মানুষ মহকুমার বাস্তবায়ন দেখেছেন। হাসপাতালের পরিকাঠামোও দ্রুত তৈরি হবে। তার আগেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চলে আসবেন।’ ধূপগুড়ি শহরের বাসিন্দা উত্তম সরকার বলেন, ‘উন্নয়নমূলক কাজে রাজনীতি ঢুকে না পড়াই শ্রেয়। আমরা উন্নয়ন চাই।’ নার্গিস পারভিন নামে আর এক বাসিন্দার কথায়, ‘শুধু হাসপাতাল নয়, গোটা এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন প্রয়োজন। সকলেরই উচিত দলমতনির্বিশেষে এলাকার উন্নয়নের কথা ভাবা।’
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ৬ জন চিকিৎসক ও ১৭ জন নার্স রয়েছেন। শয্যা রয়েছে ৬০টি। মহকুমা হাসপাতালে উন্নীত হওয়ার পর এখানে ১০০টি শয্যার ব্যবস্থা করা হবে। বাড়বে চিকিৎসকের সংখ্যাও। এদিন ময়নাগুড়ির সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর মহকুমা হাসপাতালের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়ার আশায় বুক বাঁধছেন ধূপগুড়ি মহকুমাবাসী।