উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সৌদি আরবে বসেই জমা দিয়েছেন মনোনয়ন! এমনই আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছে বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে। তিনি বসিরহাটের মিনাখাঁর কুমারজোলর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিন গাজি। সৌদি আরবে বসে কীভাবে বাংলার ভোটযুদ্ধে অংশ নিলেন মইনুদ্দিন গাজি তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনায় কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করল সিপিএম। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে বৃহস্পতিবারই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
মিনাখাঁর কুমারজোলর গ্রাম পঞ্চায়েতে এবার তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন মইনুদ্দিন গাজি। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারির দিন অর্থাৎ গত ৪ জুন তিনি যান সৌদি আরবে। তাঁর ১৬ জুলাই রাজ্যে ফেরার কথা। তিনি সৌদি আরবে থাকা সত্ত্বেও তাঁর মনোনয়ন জমা পড়েছে। প্রার্থী অনুপস্থিত থেকে কিভাবে মইনুদ্দিনের মনোনয়নপত্র জমা পড়ল সেই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ্য হয়েছে সিপিএম। মামলাকারী আইনজীবী সলোনি ভট্টাচার্য ও শামীম আহমেদের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারির দিন মইনুদ্দিন গাজি দেশ ছাড়েন। হজ কমিটি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ জুন সৌদি আরবে যান। তাঁর ১৬ জুলাই রাজ্যে ফেরার কথা। প্রার্থী অনুপস্থিত হলেও মনোনয়নপত্র জমা পড়ে গিয়েছে। প্রার্থী সৌদি আরবে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে মিনাখাঁয় মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মইনুদ্দিন, এই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ সিপিএম। মামলা করেছেন আইনজীবী সলোনি ভট্টাচার্য ও শামীম আহমেদ।
মামলাকারীদের অভিযোগ, বিডিও এবং পঞ্চায়েতের রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে যোগসাজশ না থাকলে অনুপস্থিত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া সম্ভব নয়। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন। তাঁর এজলাসেই এদিনই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিপাকে পড়েছে তৃণমূল। এই ঘটনায় হাইকোর্টের রায়ের ওপরে নির্ভর করছে মইনুদ্দিন গাজির ভোটে লড়ার ভাগ্য।