রাহুল মজুমদার, শিলিগুড়ি: সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানে প্রথম দুই জোড়া হিমালয়ান গরাল ছাড়া হল। দার্জিলিং চিড়িয়াখানার তোপকেদাড়া প্রজননকেন্দ্রে গরালগুলির জন্ম হয়েছিল। রাজ্যের পদস্থ বনকর্তাদের উপস্থিতিতে ওই চারটি গরাল সিঙ্গালিলার জঙ্গলে ছেড়েছে দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিকাল পার্ক কর্তৃপক্ষ। এর আগে ২০২২ সালে মহানন্দা অভয়ারণ্যে আটটি গরাল ছাড়া হয়েছিল। বর্তমানে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় ৩৩টি গরাল রয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (আইইউসিএন)-এর লাল তালিকাভুক্ত গরালের প্রজননে সফল দার্জিলিং চিড়িয়াখানার এই প্রজননকেন্দ্র। এই গরালগুলি বন্দিদশায় ১৪ থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। বর্তমানে এই পার্কে ১৭ বছর বয়সি একটি হিমালয়ান গরাল সিম্বা বেঁচে রয়েছে। দার্জিলিং চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর ডঃ বাসব রাজ হোলেইচির বক্তব্য, ‘এই প্রথম সিঙ্গালিলার জঙ্গলে গরাল ছাড়া হল। আশা করছি, আগামীতে আরও বেশ কিছু গরাল সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানে আমরা ছাড়তে পারব।’
বন্দি প্রজননের জন্য দার্জিলিং চিড়িয়াখানা সর্বসময়ই সেরার তালিকায় রয়েছে। রেড পান্ডা থেকে শুরু করে গরাল, তুষার চিতা সহ একাধিক লুপ্তপ্রায় প্রাণীর প্রজনন হচ্ছে এখানে। পালা করে প্রাণীগুলিকে সিঙ্গালিলার জঙ্গলে ছাড়া হচ্ছে। সেইমতো এবার হিমালয়ান গরাল ছাড়ার কথা ছিল। তাই এক জোড়া পুরুষ এবং একজোড়া স্ত্রী গরালকে কয়েকদিন পৃথকভাবে রাখা হয়েছিল। তাদের স্বাস্থ্যের দিকেও নজর রাখা হচ্ছিল। সব ঠিক থাকায় এরপর গরালগুলিকে জঙ্গলে ছাড়া হয়েছে। তাদের গতিবিধির ওপর বিশেষ নজর রাখা হবে। পাশাপাশি জঙ্গলের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে উঠতে পারছে কি না, খাবার খোঁজ করে খেতে পারছে কি না সেই সমস্ত বিষয়েও খোঁজখবর রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) রাজেশ কুমারের উপস্থিতিতে গরালগুলিকে মঙ্গলবার জঙ্গলে ছাড়া হয়েছে বলে পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।