তমালিকা দে, শিলিগুড়ি: দুই কর্তৃপক্ষের কোন্দলে পড়ুয়াদের মিড–ডে মিল (Mid-day Meal) খাওয়া হল না। সোমবার নেতাজি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (School) ঘটনাটি ঘটে। মিড–ডে মিলের রান্নাঘর বন্ধ থাকায় এদিন সময়মতো রান্না হয়নি। ফলে মিড–ডে মিল না খেয়েই প্রাক-প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণির পড়ুয়ারা বাড়ি ফিরে যায়। পড়ুয়ারা বিপাকে পড়ার পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। এদিন দেরিতে মিড–ডে মিলের রান্না হওয়ায় প্রচুর খাবারও নষ্ট হয়। অন্ধকারেই ক্লাস নিতে গিয়ে শিক্ষক–শিক্ষিকারাও সমস্যায় পড়েন।
একই প্রাঙ্গণে নেতাজি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিলিগুড়ি নেতাজি হাইস্কুল রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যুতের বিল মেটানো নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা রয়েছে। নেতাজি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিভূতিভূষণ রায় বলেন, ‘এদিন স্কুলে এসে দেখি মিড–ডে মিলের রান্নাঘর বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি স্কুলে বিদ্যুতের মিটারও নামানো রয়েছে। স্কুলের কেয়ারটেকারকে প্রশ্ন করতেই তিনি জানান হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে অনুমতি নিলে তবেই ঘর খোলা হবে। হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে ফোন করার চেষ্টা করি। কিন্তু ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।’ যদিও পরে হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি ও ওয়ার্ড এডুকেশন কমিটির দায়িত্বে থাকা ওয়ার্ড কাউন্সিলার অভয়া বসুকে ফোন করার পর সমস্যা মেটে। নেতাজি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজীব ঘোষ বলেন, ‘রবিবার স্কুলে একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার সময় বিদ্যুতের কিছু সমস্যা হয়েছিল। দপ্তরের সহযোগিতায় সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলে। এজন্য মিটার নামিয়ে রাখা হয়েছিল। মিড–ডে মিলের রান্নাঘর খোলা থাকলে সেখানে কুকুর ঢুকে পড়ে। এজন্য ওই রান্নাঘর বন্ধ রাখা হয়েছিল। এছাড়া অন্য কোনও কারণ নেই।’
শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান (Chairman) দিলীপ রায় বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝি থেকেই এদিনের ঘটনাটি ঘটেছে। এছাড়া অন্য কোনও কারণ নেই।’