কলকাতা: ফের কলকাতা হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সৌদি আরবে বসে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন সংক্রান্ত মামলায় মঙ্গলবার আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশন। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা মন্তব্য করেন, ‘এত বড় অভিযোগ আদালতে না এলে কী হত? বিদেশে থাকা প্রার্থীর মনোনয়ন গণ্য হয়ে যেত। তখন কী করত কমিশন?’
সেই সঙ্গে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘দেশের বাইরে থেকে এমন ঘটনা হয়েছে। তা হলে দেশের মধ্যে থেকে মনোনয়নে আরও কত কী হয়েছে।’ বিচারপতি সিনহা আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত আদালত। কোন সংস্থা তদন্ত করবে পরবর্তী সময়ে আদালত সেই নির্দেশ দেবে। ১৯ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।
মিনাখাঁর তৃণমূল প্রার্থী মোহারুদ্দিন গাজির মনোনয়ন জমা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় হয়। তিনি ৪ জুন সৌদি আরবে যান। ১৬ জুলাই তাঁর রাজ্যে ফেরার কথা। মোহারুদ্দিন বিদেশে থাকলেও তাঁর মনোনয়নপত্র ঠিক জমা পড়ে যায়। সৌদি আরবে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে মিনাখাঁয় মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মোহারুদ্দিন, এই প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। প্রশ্ন ওঠে বিডিও এবং পঞ্চায়েতের রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা নিয়েও। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা হয়।
মঙ্গলবার আদালত বলেছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখে তার সত্যতা খুঁজে বার করা হয়েছে। অভিযোগ সত্য বলে জানার পরই মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এমনকি, দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। আদালতের বক্তব্য, এটি তদন্তযোগ্য অপরাধ।
শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী জানান, এটা একটি সংগঠিত অপরাধ। এই বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খোঁজার জন্য তদন্ত জরুরি। এরপর বিচারপতি সিনহা নির্দেশ দেন, ওই প্রার্থীর মনোনয়ন পর্বের যাবতীয় নথি সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়া রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় পদক্ষেপ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।