উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে হামলার ঘটনায় ৮ জন নিরাপত্তা আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হল। সংসদে ঢোকার পথেই দায়িত্বে ছিলেন ওই ৮ জন আধিকারিক। সূত্রের খবর, সংসদে হামলার পর থেকেই উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই ঘটনা নিয়ে সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতেই বৃহস্পতিবার অধিবেশন শুরুর আগে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন তিনি। সেই বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা ছাড়াও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী ও অনুরাগ ঠাকুর উপস্থিত ছিলেন। তখনই ৮ জনকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ সংসদে জিরো আওয়ার চলাকালীন দর্শকাসন থেকে হঠাৎই লোকসভায় লাফিয়ে পড়েন দুজন। ‘তানাশাহি বন্ধ করো’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। জুতো খুলে এক সাংসদকে মারার চেষ্টা করা হয়। এমনকি, লোকসভার ভেতরে হলুদ রংয়ের গ্যাস ছড়ানোরও চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে হুলুস্থুলু পড়ে যায় সংসদ ভবনে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেকে। সাংসদরাই অভিযুক্তদের দুজনকে ধরে ফেলেন। সংসদের নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে অভিযুক্তরা কীভাবে হলুদ রংয়ের গ্যাসের ক্যানিস্টার নিয়ে ভেতরে ঢুকল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই থেকেই সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সংসদের মূল প্রবেশপথ ও দরজার কাছেই ওই ৮ আধিকারিকের ডিউটি ছিল। তাই কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের।