বালুরঘাট: রক্ত সংকটে জেরবার বালুরঘাট ব্লাড ব্যাংক। নেগেটিভ রক্তের ভাড়ার প্রায় শূন্য। শনিবার দুপুর পর্যন্ত বি নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত মাত্র এক ইউনিট পড়ে রয়েছে। এ নেগেটিভ, এবি নেগেটিভ, ও নেগেটিভ রক্ত এক ইউনিটও মজুত নেই ব্লাড ব্যাংকে। প্রতিবর্ত রক্তদাতা নিয়ে আসতে হচ্ছে থ্যালাসিমিয়া রোগীদের। শীতের প্রকোপ বাড়তেই রক্তদান শিবির তুলনামূলকভাবে কমে এসেছে। চাহিদা অনুযায়ী রক্তের যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
জেলা হাসপাতালে একই ছাদের তলায় রয়েছে বালুরঘাট ব্লাড ব্যাংক। যেখানে প্রতিদিনই রক্তের চাহিদাপত্র নিয়ে হাজির হন প্রচুর মানুষ। কেউ প্রসূতি মায়ের জন্য, কারও দুর্ঘটনাজনিত কারণে রক্তের চাহিদা এই ব্লাড ব্যাংকে সবসময়ই তুঙ্গে। সবচেয়ে বেশি বেগ পেতে হয় থ্যালাসিমিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার যেকোনও প্রান্তের থ্যালাসিমিয়া রোগীকে রক্তের জন্য ভর্তি হতে হয় বালুরঘাট হাসপাতাল। কারণ জেলায় একমাত্র এখানেই রয়েছে থ্যালাসিমিয়া কন্ট্রোল ইউনিট। প্রতি মাসে প্রায় ২০০ জন রোগীকে রক্ত দেয় বালুরঘাট ব্লাড ব্যাংক। এই রক্তের যোগান স্বাভাবিক রাখতে একমাত্র মাধ্যম রক্তদান শিবির। শীত বাড়তেই রক্তদান শিবিরের রক্তদাতার অভাব দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে নেগেটিভ গ্রুপের রক্তদাতারা পিছিয়ে থাকেন। একমাত্র আপৎকালীন সময়েই তারা রক্ত দান করেন।
কুমারগঞ্জে বাড়ি বাবুন দাসের। তার ছেলে ১১ বছর বয়সী ঋক দাস থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। বাবুন বাবুর কথায়, ‘প্রায় প্রতি মাসেই ছেলেকে রক্ত দিতে হয়। কিন্তু মাঝে মধ্যেই ব্লাড ব্যাংকে রক্ত মজুদ না থাকায় রক্তদাতা নিয়ে আসতে বলে। তখন সেই গ্রুপের রক্ত খুঁজে পেতে সমস্যা হয়। নেগেটিভ গ্রুপের রোগীর ক্ষেত্রে এই সমস্যা প্রখর।’
বালুরঘাট ব্লাড ব্যাংকের মেডিকেল অফিসার ডাঃ দেবব্রত দে বলেন, ‘ব্লাড ব্যাংকে রক্ত মজুদ থাকলে রোগীদের তা দিয়ে দেওয়া হয়। না থাকলে তাদের রক্তদাতা আনতে বলা হয়। নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত সব জায়গাতেই একটু কম থাকে। শীতের মধ্যে একটু কম শিবির হচ্ছে। তবে শুক্রবার তিনটি জায়গায় রক্তদান শিবির থেকে ১০০ ইউনিটের উপরে রক্ত পেয়েছি।’