উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মোদির ডাকা সংসদে বিশেষ অধিবেশনে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ প্রস্তাব আনতে চলেছে কেন্দ্র বলে রাজনৈতিক মহল ধারণা করেছিল। কিন্তু দেখা যায় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে এ নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রয়োজন আরও সময়, বলে জানালেন ‘ল কমিশন’। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই কাজের জন্য একদিকে যেমন সংবিধানের বেশ কয়েকটি ধারা পরিবর্তনের প্রয়োজন, তেমনি এ বিষয়ে চূড়ান্ত খসড়া তৈরির জন্য একাধিক বৈঠক ও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
বুধবার বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থির সভাপতিত্বে কমিশনের বৈঠকে এক দেশ, এক নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করা হয়।আলোচনার পর জানা যায়, তড়িঘড়ি করে নয়, সময় নিয়েই কমিশন তাদের মত জানাবে। কমিশন আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের কাছে জমা দেবেন।যদিও কমিশনের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষায় না থেকে কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই ‘এক দেশ,এক নির্বাচন’ নিয়ে আট সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।সেখানে রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। ইতিমধ্যেই এই কমিটির প্রথম বৈঠকও হয়ে গেছে। সুত্রের খবর কমিটির পরবর্তী বৈঠকে ল কমিশনকে ডাকা হবে।
এদিনের বৈঠকে অবশ্য ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ এর পাশাপাশি পকসো আইনের অধীনে যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে সম্মতির ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করা উচিত কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পকসো আইন অনুযায়ী আঠারো বছরের কম বয়সিদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক তৈরি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।মেয়েদের ক্ষেত্রে যৌন সম্পর্কে সম্মতি থাকলেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ধারাই প্রযোজ্য হবে।এছাড়াও এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে এফআইআর দায়ের করার বিধান নিয়েও।সূত্রের খবর, কেউ যাতে এই সুবিধার অপব্যবহার না করতে পারে সে বিষয়টিকে খতিয়ে দেখছে কমিশন।