হরিশ্চন্দ্রপুর: দুই পরিবারের নাবালক সদস্যদের ঝগড়ার জের। লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে এক তৃণমূলকর্মীর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল এক কংগ্রেসকর্মী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝিকডাঙা গ্রামে। অভিযোগ, ওই তৃণমূলকর্মীর পরিবারের লোকেদের ব্যাপক মারধর করা হয়। এমনকি, শ্লীলতাহানি ও লুটপাট চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের আঙুল উঠেছে কংগ্রেসকর্মী আব্দুল সামাদ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। মারধরে জখম হয়েছেন তৃণমূলকর্মী আসদুল হকের স্ত্রী লালবানু বিবি (৪০) ও তাঁর বৃদ্ধা মা আরিফা বিবি। এমনকি, মারধর করা হয়েছে তাঁর দুই মেয়েকেও। আহত লালবানু বিবিকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কংগ্রেস কর্মী আব্দুল সামাদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২ সেপ্টেম্বর অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে খিচুড়ি আনতে গিয়ে তৃণমূল কর্মী আসদুল হকের ছোট মেয়ে নিশা খাতুন (১১)-এর সঙ্গে কংগ্রেস কর্মী আব্দুল সামাদের ছোট ছেলে আজমাইল হক (১২)-এর মধ্যে ঝগড়া হয়। নিশা খাতুন আজমাইল হকের বুকে কামড় বসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এতেই দুই পরিবারের মধ্যে শুরু হয় বচসা। ঘটনার দু’দিন পর এদিন আব্দুল সামাদ আসদুল হকের বাড়িতে ঢুকে লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে পরিবারের লোকেদের ব্যাপক মারধর করেন বলে অভিযোগ। দু’পক্ষই হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবে বলে জানিয়েছে।
যদিও অভিযুক্ত আব্দুল সামাদ বলেন, ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। ওরাই উলটে সপরিবারে আমার ছেলেকে মারধর করেছে। আমরা এর বিচার চাইতে গেলে উলটে ওরাই আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা কোনও মারধর করিনি।’
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের সভাপতি বিমানবিহারী বসাক বলেন, ‘এলাকায় একটি সিট তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে। তারপর থেকেই সেখানে অশান্তি পাকাবার চেষ্টা করছে আমাদের কর্মী এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে। এই ঘটনায় আমাদের কোনও কর্মী জড়িত নন।’
তৃণমূলের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, ‘ভিঙ্গল অঞ্চল কংগ্রেসের দখলে আসার পর থেকেই তৃণমূল কর্মীদের ওপর ক্রমাগত অত্যাচার চলছে। আমরা আহত এবং আক্রান্ত তৃণমূলীদের বিচারের জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হব। অবিলম্বে আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাব।’ হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় অভিযোগ জানানো হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।