উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: খরসাং। লেপচা ভাষায় সাদা অর্কিডের দেশ। পাহাড়ের রানি দার্জিলিংয়ের মুকুটে অন্যতম সেরা মণি অবশ্যই খরসাং বা কার্শিয়াং। আর এই কার্শিয়াং শহর থেকেই কিছুটা দূরে কুয়াশার চাদরের আড়ালে লুকিয়ে অনবদ্য এই পর্যটন কেন্দ্র বগোরা।
পাহাড়ি গ্রাম। কয়েকঘর বাসিন্দা। কিন্তু বগোরাকে সৌন্দর্যের খনি বললেও অনেকটাই বলা হল না। তবে বগোরা পৌঁছতে হবে না। আপনার মুগ্ধতার শুরু হবে বগোরা পৌঁছবার অনেকটা আগে থেকেই। কার্শিয়াং শহর ছাড়িয়ে ডাউহিল স্কুল-ভিক্টোরিয়া কলেজ পার করে পাহাড়ের পাকদণ্ডী বেয়ে আপনার গাড়ি যতই উঠবে, ততই আপনি হারিয়ে যেতে থাকবেন সৌন্দর্যের আপন দেশে।
বড় যত্নে প্রকৃতি সাজিয়েছে কার্শিয়াংয়ের এই এলাকাকে। পাহাড়ের ঢালে লম্বা পাইন গাছের সারি, গা ছমছম করা শান্ত-ঠান্ডা পরিবেশ। মাঝে মধ্যেই আপনাকে ভিজিয়ে দিয়ে যাবে মেঘের দল। অবিশাস্য নয়, সত্যিই। হাত দিয়ে মেঘ ছোঁয়ার গল্পটাকে এখানেই বাস্তব করে নিতে পারেন আপনি। সত্যিই যেন আপনার দরজায় কড়া নাড়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে মেঘ পিয়ন।
কিছুটা এগোতেই পড়বে আরও একটা ছোট্ট পাহাড়ি জনপদ চিমনে। দিনের বেলাতেও যে এলাকায় কান পাতলেই শুনতে পাবেন পাইন গাছের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা হাওয়ার শব্দ। আর দ্বিধাবিভক্ত সূর্যের আলো যে স্বর্গীয় পরিবেশের সূচনা করবে তা সত্যিই শব্দে ব্যাখ্যার অতীত। তবে অনেকে বলেন বগোরার সৌন্দর্য নাকি আরও বে়ড়ে যায় বর্ষায়। বৃষ্টিতে এর রূপ নাকি খুলে যায়। ঠিক যেন যৌবনে ভরপুর ঘুমন্ত পরী। তবে ভ্রমন পিপাসু মানুষের কাছে বগোরার সৌন্দর্য আদৌ কোনও ঋতুভিত্তিক নয়। বছরের সব সময়ই আলাদা ভাবে ধরা দেয় রূপসী বগোরা। তাই যেকোনও সময়ই ঘুরে আসতে পারেন এখান থেকে।
কীভাবে যাবেন?
শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস, দার্জিলিং মোড়, এনজেপি অথবা বাগডোগরা এয়ারপোর্ট থেকে বাগোরা যাওয়ার গাড়ি পাবেন। কার্শিয়াং থেকে একটি রাস্তা গিয়েছে, এছাড়াও দিলারাম হয়েও যেতে পারেন। যারা সিটং যাচ্ছেন, তারা সিটং হয়েও অন্যপথে ঢুকতে পারেন বগোড়াতে। তবে বাগোরাতে হোমস্টের সংখ্যা সেভাবে উল্লেখযোগ্য নয়। আগে থেকে খোঁজখবর নিয়ে গেলে সমস্যায় পড়তে হবে না।