কোচবিহার: মাছ-মাংস সংরক্ষণ হোক বা ফলের রসের দোকান, গরমে বরফের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে টাকা হাতে দাঁড়িয়ে থাকলেও বরফ মিলছে না। যার জেরে সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। কোচবিহার শহর ও সংলগ্ন এলাকায় হাতে গোনা দু’তিনটি বরফ তৈরির কারখানা রয়েছে। সেখানে পরিকাঠামোও সীমিত। আবার বরফ তৈরি করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই চাহিদা বেশি থাকায় প্রতিদিনই ক্রেতারা এসে ঘুরে যাচ্ছেন। অত্যাধিক গরমে বরফের জন্য চারদিকে শুধুই হাহাকার।
কোচবিহার শহরের পালপাড়া সংলগ্ন এলাকায় একটি বরফ তৈরির কারখানা রয়েছে। বরফের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের আইসক্রিম তৈরি করা হয় সেখানে। জানা গিয়েছে, ওই কারখানায় একসঙ্গে ৪৫টি বরফের চাঁই তৈরি করা হয়। জল থেকে বরফ তৈরি করতে গোটা দিন লেগে যায়। তাই একদিনে অনেক ক্রেতা থাকলেও বেশি পরিমাণে বরফ তৈরি করা সম্ভব হয়না। দুই ধরণের বরফ সেখানে তৈরি হয়। একটি পানীয় জল দিয়ে তৈরি করা হয়। যেটি আখের রস, ফলের রস, ঘোল, লস্যি তৈরির কাজে লাগে। আরেক ধরনের বরফ সাধারণ জল দিয়ে তৈরি করা হয়। সেটি মাছ-মাংস সংরক্ষণের কাজে লাগে। সাধারণ বরফের একটি চাঁইয়ের দাম ১০০টাকা। খাবারের বরফের দাম ১২০-১৩০টাকা।
বরফ তৈরির কারখানার তরফে সোমতীর্থ বর্ধন জানান, গরমে বরফের চাহিদা বেশি থাকে। তাদের যা পরিকাঠামো রয়েছে তার মধ্যেই প্রতিদিন বরফ তৈরি করা হচ্ছে। সুনীতি রোড বাইলেনে একটি বরফ তৈরির কারখানা রয়েছে। তবে তারা শুধুমাত্র মাছ-মাংস সংরক্ষণের জন্যই বরফ তৈরি করেন। কারখানার মালিক শুভজিৎ বিশ্বাসের কথায়, একসঙ্গে ৪০পিস বরফের চাঁই তৈরি করা যায়। একবার বরফ তৈরি হতে ১৮-২০ ঘণ্টা সময় লাগে। তাই ক্রেতা বেশি থাকলেও একদিনে ৪০পিসের বেশি বরফ বিক্রি করা সম্ভব নয়।