জামালদহ: জামালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশারহাট বাজারে মিছিল শেষে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাড়ি ফেরার পথে নিজের এলাকায় আক্রান্ত হলেন তৃণমূল প্রার্থী। তিনি জামালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪২ নম্বর বুথের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দিলীপ বর্মন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেখলিগঞ্জ ব্লকের জামালদহে।
জানা গিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যেয় স্থানীয় কেশারহাট বাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল ছিল। সেই মিছিলে পা মেলান দিলীপ বর্মনও। মিছিল শেষে রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটা নাগাদ জামালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠুনকির ঝাড় এলাকায় নিজের বাড়িতে ফেরার পথে কয়েকজন পথ আটকায় দিলীপ বর্মনের। সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ওপর আক্রমণ করা হয়। অভিযোগ, সেখানে উপস্থিত ছিলেন ওই বুথের বিজেপির পঞ্চায়েত পদপ্রার্থীও। রক্তাক্ত অবস্থায় দিলীপকে উদ্ধার করে মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে শুক্রবার কিছু টেস্ট করানোর জন্য ওনাকে জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার সময় দিলীপ বর্মনের সঙ্গে ছিলেন অনিমেষ বর্মন। তিনি বলেন, ‘মিছিল সেরে বাইকে বাড়ি ফিরছিলাম। বাড়ির পাশে বসাক পাড়ায় আমাদের বাইক দুটি আটকায় বিজেপির কয়েকজন সদস্য। তাদের মধ্যে এই বুথের বিজেপি পদপ্রার্থী মৃনাল বর্মনও ছিল। তারপরে সেই সশস্ত্র বিজেপি সদস্যরা আমাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। দিলীপ বর্মনকে বেধড়ক মারধর করা হয়।‘
এবিষয়ে জামালদহের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি রঘু রায় পাখাধরা বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে পেরে উঠছে না। তাই বিজেপি পরিকল্পিতভাবে আমাদের পঞ্চায়েত প্রার্থীকে আক্রমণ করেছে। যা মেখলিগঞ্জের রাজনীতিতে নজিরবিহীন। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।‘ যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি। বিজেপির মেখলিগঞ্জ বিধানসভার আহ্বায়ক পবন কুমার ভাদানি জানান, এটা তৃণমূলের কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল। তারা নিজেদের মধ্যে লড়াই করে আমাদের সমর্থকদের মিথ্যা মামলায় জড়াতে চায়। এই বিষয়ে মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা জানান, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে।