শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ির আঁধারপর্ব যেন মেটারই নয়। এবারে এক গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে তিন নাবালিকাকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠল। কার্সিয়াং কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া অভিযুক্ত অভিষেক ভেংরাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অভিযোগ, অন্যান্য দিনের মতো পাঁচ পড়ুয়া শুক্রবার বিকেলে তার বাড়িতে পড়তে গিয়েছিল। প্রধাননগর থানা এলাকার একটি চা বাগান এলাকায় অভিষেকের বাড়ি। অভিযোগ, ওই তরুণ সেই পড়ুয়াদের মধ্যে তিনজনকে অন্য একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে তাদের যৌন হেনস্তা করে। যাদের যৌন হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ, তাদের বয়স পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শিলিগুড়ি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মলয় করঞ্জাই বলেন, ‘ওই উনিশ বছরের ছেলে কী ধরনের শিক্ষক আমি জানি না। এখনই এই পরিস্থিতি হলে ও তো পরবর্তীতে আরও গুরুতর অপরাধ করবে। এক্ষেত্রে এখনই কঠোরতম ব্যবস্থা প্রয়োজন।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত তরুণ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিজের বাড়িতে টিউশন পড়াচ্ছে। ওই তিন নাবালিকাও মাস তিনেক ধরে তার কাছে পড়তে আসত। ঘটনার পর ওই তিনজন বাড়ি ফেরার পর সবকিছু জানালে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযোগ, গোটা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এলাকার মাতব্বররা শনিবার সকালে সালিশি সভাও বসায়। তবে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে, ওই মাতব্বররা থানাতেও যায়। প্রধাননগর থানার আইসি বাসুদেব সরকার তাদের সতর্ক করলে তারা থানা চত্বর ছাড়ে।
এদিকে, গত কয়েকমাসে যেভাবে একের পর এক শিলিগুড়িতে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠছে, তাতে ব্যাপক আশঙ্কা ছড়িয়েছে। মাস দুয়েক আগেই সরকার পোষিত স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল। পরবর্তীতে এক নৃত্যশিল্পীর বিরুদ্ধেও এক শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল। এবারে এক প্রাইভেট টিউটরের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ ওঠায় আশঙ্কার পারদ চড়ছে। মলয় বললেন, ‘কোনওমতেই বিষয়টিকে মেনে নেওয়া যায় না। পাশাপাশি, এই ঘৃণ্য অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য যারা মাতব্বরি করছিল, তাদের বিরুদ্ধেও প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’