ঘোকসাডাঙ্গাঃ সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও গোপনে গর্ভপাত করার অভিযোগ উঠল তারই আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। এমনই ঘটনা ঘটেছে মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের রুইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনায় ঘোকসাডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ছাত্রীর পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পকসো আইনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বাবা পরিযায়ী শ্রমিক। মায়ের সঙ্গে নাবালিকা রুইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একাই থাকে মেয়েটি। অভিযোগ, কাসেম আলী মিয়াঁ নামে এক প্রতিবেশী সম্পর্কে মামা সপ্তম শ্রেণীতে পাঠরত নাবালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। কিছুদিন আগে ছাত্রীর শরীরে নানান সমস্যা দেখা দেয়। শারিরীক অসুস্থতা নিয়ে চিকিৎসার জন্য মাথাভাঙ্গায় নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক পরীক্ষানিরীক্ষা করে জানিয়ে দেয় ওই ছাত্রী প্রায় ছমাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি জানতে পেরেই অভিযুক্ত কাসেম আলী মিয়াঁ ও তার স্ত্রী ওই ছাত্রীকে ফালাকাটায় নিয়ে গিয়ে গর্ভপাত করিয়ে বাড়ি নিয়ে আসে। বাড়ি ফেরার পর ছাত্রী ফের অসুস্থ হয়ে পরলে গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কোচবিহারের এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। বর্তমানে সে হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে চিকিৎসাধীন। সেই রাতেই অভিযুক্ত কাসেম আলী মিয়াঁর বিরুদ্ধে ঘোকসাডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার।
নাবালিকার এক আত্মীয় বলেছে, ‘পরিচিতির সুযোগ নিয়ে অভিযুক্ত মেয়েটিকে যৌন নির্যাতন করেছে। তাকে নিয়ে গিয়ে গর্ভপাত করানো হয়েছে। আমরা অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি চাই।
এব্যাপারে মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা জানান, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত কাসেম আলী মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতকে চারদিনের হেপাজতে নেওয়া হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য সালিশি সভাও বসে কিন্ত গ্রাম্য সালিশি সভায় বিষয়টি মেটেনি।