হরিশ্চন্দ্রপুর: পুনর্নির্বাচন আটকাতে রাতভর তাণ্ডব চালাল তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী! ঘটনার পর থেকেই সপরিবারে ঘরছাড়া কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী। গ্রামবাসীরা যাতে ভোট দিতে না যেতে পারেন তার জন্য বাড়ির দরজাতেই পাহারা দিল শাসকদলের লোকজন! এমনই অভিযোগ উঠেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সুলতান নগরে। যদিও শেষে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মদতে ভোট দেন গ্রামবাসীরা।
সোমবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার দু’টি ব্লকে মোট ১১টি বুথে পুনর্নির্বাচন হয়। অভিযোগ, রবিবার রাত থেকে সুলতান নগর অঞ্চলের পাঁচটি বুথে পুনর্নির্বাচন আটকাতে তাণ্ডব চালায় শাসকদলের হার্মাদ বাহিনী। রাতভর সুলতান নগর এলাকার সাহাপুর, সায়রা, চকসতন, খুনিয়া পাহাড় সহ একাধিক গ্রামে তাণ্ডব চলে। অভিযোগ, গভীর রাতে জোট প্রার্থী আসরাফুল হকের বাড়িতে ভাঙচুর করে তৃণমূল। চলে বোমাবাজিও। এমনকি, গোয়ালঘর থেকে গবাদি পশুও খুলে নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে ঘরছাড়া আসরাফুল হক ও তাঁর পরিবার। এদিনও থমথমে রয়েছে সাহাপুর এলাকা।
সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য শেখ খলিল বলেন, ‘গতকাল রাতে আমাদের জোটের প্রার্থীদের ভয় দেখিয়েছে তৃণমূলের লোকজন। আমাদের সমর্থকদের খুনের হুমকি পর্যন্তও দিয়েছে তারা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহযোগিতায় ভোট অনেকটাই সফল হয়েছে। আমাদের এক জোট প্রার্থীর বাড়িতে ভাঙচুর চলেছে।’ ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক শ্রীমন্ত মিত্র বলেন, ‘আমাদের কর্মীদের প্রচুর মারধর করা হয়েছে। আমরা এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানিয়েছি।’
যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা এলাকার জেলা পরিষদ প্রার্থী বুলবুল খান। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধীদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে তাই তারা উলটো পালটা বকছে। আমরা এই ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাব। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে।’