উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ দীর্ঘ কুড়ি বছর পর হুগলির কোদালিয়ায় বিজয় মিছিল করল বামেরা। এর আগে ২০০৩ সালে শেষ বারের মত এই বুথ বামেরা জিতেছিল। এই কোদালিয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে এই বছরের নির্বাচনে দুটি আসনে জয়লাভ করে বামফ্রন্ট। তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত কোদালিয়া ২ পঞ্চায়েতের এই বুথ। সেই ঘাঁটি এবারের ভেঙে দেয় সিপিআইএম এর তরুণ প্রার্থী শুভঙ্কর রাহা।
২০১১ সালের পর থেকে ক্রমশ ভোট কমেছে বামেদের। গত বিধানসভায় সিপিএমের আসন সংখ্যা শূন্য। বিধানসভায় একাধিক তরুণ যুবক যুবতীকে প্রার্থী করেছিল বাম শিবির। এবারের পঞ্চায়েত ভোটেও সেই তরুণ ব্রিগেডের উপরেই ভরসা রাখে বামেরা। ২০১৯ লোকসভা ও ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের ভোট বিজেপিতে গেলেও এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনেকটাই বেড়েছে ভোটার সংখ্যা। এবারের পঞ্চায়েতে সবুজ ঝড়ের মাঝেও তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতে আঘাত হানলো সিপিআইএম এর তরুণ প্রার্থী শুভঙ্কর রাহা। তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন কোদালিয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২০ নম্বর বুথে।
এলাকার একাধিক সমস্যাকে হাতিয়ার করে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিল শুভঙ্কর। তৃণমূলের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সচেতন করতে বাড়ি বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। ভোট বাক্সে তার প্রভাব দেখা যার ৮ জুলাই। ১১ তারিখ ফলাফল ঘোষণা হতেই বোঝা যায় তৃণমূল স্তরে এই প্রচারের কতটা প্রভাব পড়েছে। বিপুল ভোটে জয়ী হয় বাম প্রার্থী। এই জয় প্রসঙ্গে শুভঙ্কর বলেন, ‘গতবার যারা বোর্ড গঠন করেছিলেন তারা কাজ করেনি, সেই কাজ করার চেষ্টা করব। একশো কুড়ি নম্বর থেকে আমি একা জয়লাভ করেছি। মানুষের জন্য কাজ করব, গ্রামীণ সমস্যার সমাধান করতে হবে। জল নিকাশি ব্যবস্থা করতে হবে, পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে। গরিব মানুষ যারা বাড়ি পাচ্ছেন না, তারা যাতে বাড়ি পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে।’
ফল ঘোষণার ১১ দিন পর রবিবার অর্থাৎ এদিন সকালে দলীয় কর্মীদের নিয়ে নিজের বুথে বিজয় মিছিল করে শুভঙ্কর রাহা। লাল আবিরের ছটা উড়িয়ে এলাকা প্রদক্ষিণ করে বাম কর্মী সমর্থকেরা।