ক্রান্তি: গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের স্বাক্ষর সত্ত্বেও ক্রান্তি বিডিও অফিসে এসে জিআর না পাওয়ায় বিক্ষোভ দেখালেন উপভোক্তারা। মঙ্গলবার সকালে সরকারি খাদ্যসামগ্রী নিতে ক্রান্তি ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে ভিড় জমান বাসিন্দারা। কিন্তু বিডিও অফিস থেকে জিআর দিতে অস্বীকার করায় ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে তাঁদের। প্রতিবাদে বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভে শামিল হন দুই শতাধিক উপভোক্তা। ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিশ ও ক্রান্তি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন রায়ের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
প্রতি মঙ্গলবার করে ক্রান্তি বিডিও অফিস থেকে বিশেষভাবে সক্ষম, যক্ষা, ক্যান্সার সহ মারণরোগে আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে জিআর দেওয়া হয়। খাদ্য সামগ্রী নিতে আসা বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিশেষ সুবিধাভোগীদের ছাড়াও এর বয়স্ক, বিধবা সহ বহু মানুষকে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন এলাকায় মাইকের মাধ্যমে ঘোষণাও করা হয়েছিল। এদিন চিকনমাটি থেকে টোটো ভাড়া করে এসেছিলেন ফজল ইসলাম। ক্ষোভের সাথে জানান তিনি, “পঞ্চায়েত সদস্যের স্বাক্ষরপত্র নিয়েই এদিন এসেছি। এতগুলো টাকা ভাড়া গুনতে হয়েছে।” বিডিও অফিস থেকে তাহলে এমন ঘোষণা করা করা হয়েছিল কেন।’ ক্ষোভ সামলাতে আসরে নামেন ক্রান্তি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন রায়। তিনি বলেন, “বিশেষ সুবিধাভোগীদের প্রাপ্য দেওয়ার পর এলাকায় এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে চিহ্নিত করে যাদের প্রাপ্য তাঁদের একে একে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। সরকারি অনুদান পাওয়ার ঘোষনা শুনেই সাধারণ মানুষ ভিড় জমিয়েছেন।” খুব দ্রুত সবকিছু সিস্টেমের মধ্যেই চলে আসবে বলে জানান তিনি।