উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কালীঘাটের কাকুকে জড়িয়ে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ বিরোধীদের। বেসরকারি হাসপাতালে বাইপাস সার্জারির পর অসুস্থতার কথা বলে দীর্ঘদিন এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কালীঘাটের কাকু তথা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তিনি বেজায় অসুস্থ থাকায় ইডির আধিকারিকরা তার দর্শন পর্যন্ত করতে পারছেন না। ইডি আধিকারিকরা হাসপাতালে গেলেও অসুস্থতার কথা বলে তাঁদের আটকে দিচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ভয়েস টেস্টের জন্য কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহই করতে পারছে না ইডি।
আর এই সূত্রেই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন সুকান্ত মজুমদার-মহম্মদ সেলিমরা। দুজনেরই অভিযোগ, এসএসকেএমে রেখে কালীঘাটের কাকুর কন্ঠস্বর পরিবর্তন করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যাতে ইডির কাছে কালীঘাটের কাকুর কল রেকর্ডের যে কন্ঠস্বরের নমুনা রয়েছে তা মেলানো না যায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ‘খবর এসেছে কালীঘাটের কাকুর ভোকাল কর্ডে কোনও একটা অপারেশন করে গলার স্বর পরিবর্তন করার চেষ্টা চলছে। সে কারণেই এসএসকেএমে ভর্তি করে রাখা হয়েছে।’ অন্যদিকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘এসএসকেএম হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে চিকিৎসার নাম করে তাঁর গলার স্বর পাল্টানো হচ্ছে।’
একদিকে যখন কাকুর ভয়েস স্যাম্পল পেতে মরিয়া ইডি। কারণ, ইডি ইতিমধ্যেই একটি অডিয়ো ক্লিপ আদালতে পেশ করেছে। আর সেখানে ইডি দাবি করেছে, সুজয়কৃষ্ণ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছেন। এর সত্যতাই পরীক্ষা করে দেখতে চান তদন্তকারীরা। কিন্তু কন্ঠস্বর বদলে গেলে তা আর প্রমাণ করা যাবে না। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ভোকাল কর্ডে অপারেশন করে কন্ঠস্বর বদলানো যায় না। একই কথা বলেছেন এসএসকেএমের এক আধিকারিকও।