উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মনোনয়ন পর্ব থেকেই উত্তপ্ত বাংলা। সন্ত্রাসের আবহে ভোটপর্ব শেষ হলেও থামেনি হিংসার ঘটনা। রবিবারও সকাল থেকে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটছে। গুলি, বোমাবাজির পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও! কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনের দিন রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ১০। কোথায়, কতজন, কীভাবে মারা গিয়েছেন সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি কমিশন। তবে বেসরকারি মতে ভোটের দিন রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা ১৯।
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঠিক কতজন মারা গেছেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে রবিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানালেন, ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজীব সিনহার এই মন্তব্যের পরেই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যাতেও রাজীব সিনহা জল মেশাচ্ছেন বলে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের কথায়, কমিশন ও রাজ্য সরকার ভোট-হিংসায় বলির সংখ্যাতেও জল মেশাচ্ছে। তাঁদের দাবি, করোনার সময় যেমন তৎকালীন রাজ্যের মুখ্যসচিব থাকার সময় মৃতের সংখ্যা যেমনভাবে কমিয়ে দিয়েছিলেন, নির্বাচন কমিশনার হয়ে এখনও ঠিক সেটাই করছেন রাজীব সিনহা।
মনোনয়ন পর্ব থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত রাজ্যে ভোট-হিংসা ও তাতে মৃত্যুর সংখ্যাটা ৩০-এর গণ্ডি ছাড়িয়ে গেছে। অসমর্থিত এক সূত্রের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। ভোটের দিনের হিংসায় মৃতের সংখ্যা ১৯। যদিও কমিশনের হিসেবে সেই সংখ্যাটা মাত্র ১০।