কলকাতা: শুক্রবার প্রকাশিত হল রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল (Wbjee Result 2023)। প্রথম হলেন মহম্মদ সাহিল আখতার। তিনি রুবি পার্কের দিল্লি পাবলিক স্কুলের পড়ুয়া। জয়েন্টে দ্বিতীয় সোহম দাস। তিনিও রুবি পার্কের দিল্লি পাবলিক স্কুলের পড়ুয়া। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সারা মুখোপাধ্যায়। বাঁকুড়ার বাংলা বিদ্যালয়ের পড়ুয়া।
চতুর্থ মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের সৌহার্দ্য দণ্ডপাত। জয়েন্টে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন অয়ন গোস্বামী। তিনি দুর্গাপুরের হেমশীলা মডেল স্কুলের পড়ুয়া। ষষ্ঠ স্থানে সোদপুর নারায়ণ স্কুলের অরিত্র অম্রুত দত্ত। সপ্তম হয়েছেন রাজস্থানের মা ভারতী স্কুলের কিন্তন সাহা। অষ্টম বাঁকুড়া জেলা স্কুলের সাগ্নিক নন্দী।
নবম হয়েছেন রাজস্থানের দিশা ডেলফি পাবলিক স্কুলের রক্তিম কুণ্ডু। (Joint Entrance Examination 2023 Result) মেধা তালিকায় দশম স্থানে রয়েছেন কাটোয়ার হোলি অ্যাঞ্জেল স্কুলের শ্রীরাজ চন্দ্র। চলতি বছর জয়েন্টের পরীক্ষা হয়েছিল ৩০ এপ্রিল। ২৬ দিনের মাথায় ফল (Joint Entrance Examination 2023 Result) ঘোষণা করলেন জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে মিলল না স্বস্তি, অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই
পড়ুয়াদের সুবিধার্থে যা করা হয়েছে:
পড়ুয়াদের সুবিধার জন্য কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার সরলীকরণ করল বোর্ড। সে জন্য প্রকাশ করা হয়েছে পুস্তিকা। বিকেল ৪টা থেকে বোর্ডের ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক কার্ড পাওয়া যাবে। এ বছর জয়েন্ট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৯১৬। পরীক্ষায় বসেছিল ৯৭ হাজার ৯২৪ জন। (Wbjee Result 2023) সফল ৯৬ হাজার ৯১৩ জন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আগেই টুইটারে দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছিলেন। সেইমতো এদিন ফল প্রকাশিত হল।
রাজ্য জয়েন্টের ফল প্রকাশের সময় ঘোষণা করা সূচি অনুযায়ী ৭ জুলাইয়ের আগে কাউন্সেলিং শুরু করা সম্ভব নয়। জয়েন্ট বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার সরললীকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। বোর্ডের দাবি, কাউন্সেলিং করতে গেলে তিনটি সর্বভারতীয় সংস্থার উপর রাজ্যকে নির্ভর করতে হয়।
প্রথমত, অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন। দ্বিতীয়ত, কাউন্সিল অফ আর্কিটেকচার। তৃতীয়ত, ফার্মাসি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। ওই তিনটি সংস্থার অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার এবং সম্প্রতি জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এরা কলেজগুলিকে অনুমোদন প্রদান করবে।
অনুমোদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে নিজেদের তথ্য পাঠাবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। সেই তথ্য হাতে পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই কাউন্সেলিং শুরু হবে।