চালসা: খুন হয়েছেন স্বামী, অনেক কাজ এখনও রয়েছে অর্ধসমাপ্ত। এবার স্বামীর অর্ধসমাপ্ত কাজ এবং তার স্বপ্নপূরণ করতে এগিয়ে আসলেন স্ত্রী। পঞ্চায়েত থাকাকালীন খুন হয়েছিলেন নাগেশ্বরী চা বাগানের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য জগৎপাল বড়াইক। আর সেই আসনেই তাঁর স্ত্রী সুনিতা বড়াইক আজ মনোনয়ন জমা দিলেন।
মাস পাঁচেক আগে মেটেলি ব্লকের নাগেশ্বরী চা বাগানের পঞ্চায়েত সদস্য জগৎপাল বড়াইকের দেহ উদ্ধার হয় একটি কুয়ো থেকে। এলাকায় সুপরিচিত ছিলেন তিনি। তবে বন্ধুদের সঙ্গে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। তিন দিন পর এলাকার এক পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে উদ্ধার হয় দেহ এবং এই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন স্ত্রী সুনিতা। তবে সেই সময় পাশে দাঁড়িয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত থাকাকালীন এলাকায় একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করেছিলেন তাঁর স্বামী। তবে ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিয়াসে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হতে হয়েছিল। একদিকে স্বামী হারানোর যন্ত্রণা অন্যদিকে তার অর্থ সমাপ্ত কাজগুলি সম্পন্ন করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। এই সব কিছুকে হাতিয়ার করে স্ত্রী নিজেই নেমে পড়লেন রাজনৈতিক ময়দানে। নমিনেশন জমা দেওয়ার সময় প্রচুর মানুষের সমর্থন লক্ষ্য করা গেল। নমিনেশন জমা দিয়ে উনার স্ত্রী সুমিতা বড়াইক জানান, স্বামীর অনেক স্বপ্ন ছিল। তার এলাকা সাজিয়ে তোলার আর এই কারণে একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন। তবে সেই সব কিছু বাস্তব রূপ দেওয়ার আগেই তাকে খুন হতে হয়। তাই স্বামীর স্বপ্নই এখন আমি পূরণ করব। টিকিট দেওয়ার জন্য তিনি তৃণমূল নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।