চাঁচল: গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে একটি জলাধার নির্মাণ করা হয়েছিল। পানীয় জলের জন্য সেই জলাধারই ভরসা ছিল গ্রামে বসবাসকারী ৫০ টি পরিবারের। কিন্তু কিছুদিন আগে গ্রামে একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণ হয়। সেই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাজের জন্য ভেঙে ফেলা হয় সরকারি জলাধার। ঠিকাদার আশ্বাস দিয়েছিলেন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাজ শেষ হলে পরবর্তীতে জলাধার নির্মাণ করে দেওয়া হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও জলাধার নির্মাণ হয়নি। পরিশ্রুত পানীয় জলের অভাবে ব্যাপক সমস্যার মুখে (Drinking water problem) চাঁচলের ভাকরি এলাকার বাসিন্দারা। সরকারিভাবে এই মুহূর্ত ওই গ্রামে পরিশ্রুত পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। এলাকায় যাদের বাড়িতে সাবমার্সিবল পাম্প রয়েছে, তাদের বাড়ি থেকে পাইপলাইন করে জল নিচ্ছে অন্যান্য লোকেরা। কিন্তু পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসনকে একাধিকবার জানালেও কোন সুরাহা হচ্ছে না। এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত সেই জলাধার নির্মাণ করা হোক। পরিশ্রুত পানীয় জলের অভাবে ইতিমধ্যেই এলাকার শিশুরা পেটের অসুখে ভুগছে। রবিবার পানীয় জলের দাবিতে রাস্তায় বালতি রেখে বিক্ষোভও দেখান এলাকার মহিলারা। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যও জল সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু জলাধার ভেঙে ফেলা হলেও কেন পুনরায় নির্মাণ হলো না তার সদুত্তর দিতে পারেননি পঞ্চায়েত সদস্য। স্থানীয় বাসিন্দা ভবানী দাস বলেন,” উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হবে বলে জলাধার ভেঙে দিল। কিন্তু তারপর আর জলাধার নির্মাণ করল না। পানীয় জল নিয়ে আমাদের প্রচন্ড সমস্যা হচ্ছে। গ্রামে পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই।”
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য খোকন দাসের বক্তব্য,”সত্যি এলাকায় পানীয় জল নিয়ে প্রচন্ড সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাজের জন্য জলাধার যখন ভাঙ্গা হয় তখন কথা ছিল জলাধর আবার নির্মাণ করে দেবেন ঠিকাদার। কিন্তু সেটা করেননি। পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছি দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য।” চাঁচলের এসডিও সৌভিক মুখার্জি জানান,”সংশ্লিষ্ট ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিককে বলবো বিষয়টি খতিয়ে দেখে সমস্যার সমাধান করতে।”