চাঁচল: শিয়রে লোকসভা ভোট। যেকোনও মুহূর্তে ঘোষণা হয়ে যেতে পারে তার দিনক্ষণ। উত্তর মালদা লোকসভায় জেতার ক্ষেত্রে তৃণমূলের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ চাঁচল বিধানসভা। কারণ গত বিধানসভা ভোটে এই বিধানসভা থেকে বড় ব্যবধানের লিড পেয়েছিল ঘাসফুল শিবির। পঞ্চায়েত ভোটেও এই বিধানসভার তিনটি জেলা পরিষদ আসনেই জিতেছে রাজ্যের শাসক দল। লোকসভার প্রাক্কালে চাঁচল বিধানসভায় উন্নয়নকে সামনে রেখেই লড়তে চাইছে তৃণমূল।
জেলা পরিষদের তরফে একাধিক এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা হচ্ছে। মূলত জোড় দেওয়া হচ্ছে রাস্তা এবং নিকাশির উপর। সঙ্গে নজর দেওয়া হচ্ছে সৌন্দর্যায়নের ক্ষেত্রেও। খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ নৈকান্দা এলাকায় নিকাশি নিয়ে ব্যাপক সমস্যা ছিল। সেখানে মালদা জেলা পরিষদের পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দকৃত ৮ লক্ষ টাকা অর্থ ব্যয়ে ১৩৩ মিটার হাইড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। শিল্যানাস করেন মালদা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন। এছাড়াও জেলা পরিষদের তরফে বাশিলহাট মোড়ে চার লক্ষ টাকা ব্যয়ে করা হচ্ছে যাত্রী প্রতীক্ষালয় এবং ৫ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ব্যয়ে জল প্রকল্পের কাজ। দুর্গাপুর গোপালপুরে ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে ঢালাই রাস্তা। কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের চন্ডিগাছি শ্মশানে ছয় লক্ষ টাকা দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। নুরগঞ্জের ইদগাহতেও ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দকৃত অর্থে নির্মাণ হচ্ছে সীমানা প্রাচীর। সৌন্দর্যায়নের ক্ষেত্রে মহানন্দা তীরবর্তী তারাপুরে প্রায় পাঁচ বিঘা জমির উপর শিশু উদ্যানকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। সেই কাজকেই আরও বাড়ানোর জন্য চিন্তাভাবনা করছে জেলা পরিষদ। মালদা শহরে বাঁধের অনুকরণে আশাপুরে মাধবপুর ব্রিজ এবং বাঁধরোড সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
তৃণমূলের দাবি, পঞ্চায়েতের আগে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। যে এলাকাগুলিতে সমস্যা ছিল। লোকসভার আগে সেখানে সব জায়গায় কাজ শুরু হচ্ছে। এই উন্নয়নকে সামনে রেখে তারা লোকসভায় লড়াই করবে। যদিও এই নিয়ে বিরোধীদের গলায় কটাক্ষের সুর। বিরোধীদের অভিযোগ, যত কাজ তত কাটমানি। লোকসভার আগে ভোটের খরচ তুলতে এটা তৃণমূলের নাটক। মালদা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন জানান, এর আগের বারে করোনার কারণে আমাদের বোর্ডের পক্ষে কাজ করতে একটু সমস্যা ছিল। এবার যত প্রতিশ্রুতি ছিল সবটা আমরা পূরণ করব। শুধু ভোট বলে না কাজ করাটাই আমাদের লক্ষ্য।
উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মুর কটাক্ষ, দেখুন কাজের কাজ তো এরা কিছু করে না। এসব কাজ মানেই কাটমানি। তৃণমূল নেতাদের পকেট ভরবে। মানুষের উপকার হবে না। ভোটের খরচ তো তুলতে হবে ওদের।