কুশমণ্ডি: প্রাচীনত্বের দিক দিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dianjpur) জেলা কত পুরোনো তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনও পাওয়া যায়নি। নানা সময়ের অজস্র স্থাপত্য আজও জেলাজুড়ে রয়েছে। বহু জায়গায় তার সাক্ষ্য বহনকারী ভগ্নাবশেষ আমাদের অতীতকে জানান দেয়। শিল্পের দিক দিয়েও পিছিয়ে নেই দক্ষিণ দিনাজপুর। পাশাপাশি বহু সংস্কৃতি নিয়ে উজ্জ্বল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রায় প্রতিটি ব্লক। পুরানে উল্লিখিত সেইসব পুরাতত্ত্ব, পাল আমল থেকে শুরু করে রাজা বিরাটের ধ্বংসাবশেষ, শিল্প ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করল দক্ষিণ দিনাজপুর ডিস্ট্রিক্ট টিচার্স ফোরাম।
ফোরামের অন্যতম সদস্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক পবিত্র মহন্ত বলেন, ‘শিল্প, সংস্কৃতি ও পুরাতত্ত্ব শুধুমাত্র সংরক্ষণ উদ্দেশ্য নয়। শিশুদের এই সমস্ত বিষয়ে একটা স্বচ্ছ ধারণা দেওয়ার কথা মাথায় রেখে ছবি আকারে দেখানোটাই মূল লক্ষ্য। গঙ্গারামপুরের বাণগড়, হরিরামপুর শমী বৃক্ষ, তপনের তপন দিঘি, কুশমণ্ডি ব্লকের মহিষবাথানের হস্তশিল্প, মহিপাল দিঘি, পাশাপাশি দিনাজপুর জুড়ে লোকনাটক খন পালাগান, মুখোশ নাচ আজ সকলের জানা। নামের সঙ্গে অধিকাংশের পরিচয় ঘটলেও সবার চোখে দেখা হয় না, বিশেষ করে শিশুদের নিজের জেলার শিল্প সংস্কৃতি ও পুরাতত্ত্বের বিষয় সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করবার উদ্দেশ্যেই ছবি তৈরির কাজ চলছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে নিজেদের সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হয় তারই একটা পদক্ষেপ হিসেবেও এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।‘
আরও পড়ুন : খড়িবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল উন্নয়নে একগুচ্ছ পরিকল্পনা রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের