বাংলা – ২৪২ ও ১৬/১
হায়দরাবাদ – ২০৫
কটক : অভিষেক পোড়েল তো রোজ রান করবেন না। বাকিদেরও এবার দায়িত্ব নিতে হবে। সন্ধ্যার দিকে মোবাইলে ফোন করতেই বাংলার কোচ অরুণ লালের গলায় ঝড়ে পড়ল বঙ্গ ক্রিকেটের বাস্তব ছবি। সহকারি কোচ সৌরাশিস লাহিড়িও একইভাবে ব্যাটারদের দিকে তাকিয়ে। আরও স্পষ্ট করে বললে, দলের দুই সিনিয়র অনুষ্টুপ মজুমদার ও মনোজ তিওয়ারির দিকে তাকিয়ে বাংলা।
বোলাররা প্রত্যাশা মতোই তাঁদের কাজ করে দিয়েছেন। মুকেশ কুমার (৪৯/৪), ঈশান পোড়েল (৫৯/১), আকাশদীপদের (৪৫/১) দাপটে ২০৫ রানে শেষ হয়েছে হায়দরাবাদের ইনিংস। প্রথম ইনিংসে ৩৭ রানের লিড পাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার সংগ্রহ ১৬/১। ওপেনার সুদীপ ঘরামী (০) ফিরে গেলেও অধিনায়ক অভিমণ্যু ঈশ্বরণ (১০) ও ঋত্বিক রায়চৌধুরি (৩) রয়েছেন। সবমিলিয়ে মোট লিড আপাতত ৫৩ রানের। লিডটা নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাল ব্যাটারদের উপরই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে টিম বাংলাকে।
১৫/২ থেকে শুরু করে আজ সকালে বারাবাটি স্টেডিয়ামের বাইশ গজকে দারুণভাবে কাজে লাগালেন বাংলার পেসাররা। বঙ্গ পেসারদের সুইং, গতির সামনে রীতিমতো দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলেন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। মধ্যাহ্নভোজের সময় ৮৪/৭ স্কোরে রীতিমতো ম্যাচ হারের দিকে চলে গিয়েছিল হায়দরাবাদ। সেখান থেকেই রবি তেজা (৮১) ও তনয় ত্যাগরাজন (৫১) মুকেশদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়লেন। দ্বিতীয় দিনের শেষে বঙ্গ পেসার মুকেশ বলেন, আমরা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তারপরও ওদের পার্টনারশিপ গড়া রুখতে পারিনি। আসলে পিচ ক্রমশ ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হয়ে উঠছে।
ক্রমশ ভালো হয়ে ওঠা বাইশ গজেই কাল বাংলার ব্যাটারদের মূল পরীক্ষা।